নাটোরে শহরের নিচাবজার কানাইখালী চৗধুরী বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত মাজেদ খান চৌধুরীর স্ত্রী জাহানারা চৌধুরীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সোহান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ২টায় অভিযুক্ত সোহানকে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে হাজির করে পুলিশ।
বিচারক তাকে তিন ঘণ্টা বুঝার মত সময় দেন। এরপর সন্ধ্যায় তার স্বীকারোক্তি বিচারক সোহানের জবানবন্দী গ্রহণ করেন। এরপর সোহান জাহানারা বেগমকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দেয়।
এর আগে পুলিশ সোহানকে শুক্রবার বিকালে নাটোর শহরের রেল স্টেশনের উত্তর পাশে থেকে গ্রেফতার করে। রাতে সোহান পুলিশের কাছে চুরি করার জন্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জবানবন্দী দেয়।
জবানবন্দীতে সোহান বলে- সে ওই বাড়িতে বুধবার সন্ধ্যার পরে ঢুকে লুকয়ে থাকে। গভীর রাতে জাহানারার কক্ষে ঢুকে মোবাইল চুরি করা সময় তাকে দেখে ফেলে এবং জাপটে ধরে চোর চোর বলে চিৎকার শুরু করে। এসময় তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে আঘাত করে দোতালার উত্তর পাশের ছোট্ট একটি জানালার গ্রীল ভেঙে পালায় সে।
নাটোর থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পুলিশের কাছে দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে শুক্রবার তাকে ১৬৪ ধরায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী গ্রহণের জন্য আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী গ্রহণ শেষে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে প্রয়াত মাজেদ খান চৌধুরীর নিজ বাসভবনে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায় চুরি করার সময় দেখে ফেলায় চোর জাহানারা চৌধুরীকে ছুরিকাঘাত করে জানালা ভেঙে পালিয়ে যায়। জাহানারা চৌধুরীর শরীরে ৯টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ ঘাতক সোহানকে ঘটনার পরপরই নাটোর স্টেশনের উত্তর পাশে থেকে আটক করে।
সোহান তার বাবা-মায়ের সাথে কিছুদিন পূর্বে ওই বাড়িতেই ভাড়া থাকতো। অপরদিকে মাজেদ চৌধুরীর দুই ছেলে ঢাকায় চাকরি করার কারণে জাহানারা দ্বিতল ভবনের নিচতলা ভাড়া দিয়ে তিনি একাই দোতালায় বসবাস করতেন। সদর দরজা বন্ধ থাকায় স্থানীয়রা জানালা ভেঙে জাহানারা চৌধুরীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। মৃত্যুর পূর্বে তিনি এই ঘটনার জন্য সোহানের নাম বলে যান।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত