লালমনিরহাটে তিস্তা, ধরলা ও সানিজান নদী থেকে একই দিনে এক নারীসহ দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যা ও রাতের বিভিন্ন সময়ে এসব লাশ উদ্ধার হয়।
জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ এলাকায় সানিয়াজান নদীর চরের বালিতে পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে ধরলা নদী থেকে আর এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপরদিকে জেলা সদরের খুনিয়াগাছ এলাকার তিস্তা নদী থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার সানিয়াজান ব্রিজের কাছে মাটির নিচে পুঁতে রাখা লাশ কুকুর খুঁড়লে প্রথমে পা দুটো দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাটি খুঁড়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অর্ধগলিত মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মরদেহটি হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা দোয়ানী মোড় এলাকার ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে একরামুল হকের (৩০)। একরামুল হকের ছোটভাই আক্তার হোসেন প্রাথমিক ভাবে লাশ শনাক্ত করে বলেন, গত শনিবার রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি একরামুল।
অপর দিকে শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের ঘাটের পাড় এলাকায় ধরলা নদীতে এক যুবকের লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে সুবাশীষ রায়(৩৪) নামের এক যুবকের (৩০) লাশ উদ্ধার করেন পাটগ্রাম থানা পুলিশ। সে ভারতের ময়নাগুড়ি এলাকার গোপাল রায়ের ছেলে। গত সোমবার সুবাশীষ বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে যায়নি। পাটগ্রামে তার স্বজনরা শনিবার সকালে ওই যুবকের মরদেহ সনাক্ত করে।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামের তিস্তা নদীতে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক নারীর ভেসে আসা লাশ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ।
লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যারা এই হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল