বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও শনিবার বিকাল ৩ টা থেকে কমতে শুরু করেছে। অপরদিকে বাঙালি নদী পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ৪র্থ দফায় বন্যার আশঙ্কা এখনো সরে যায়নি।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে যমুনা নদীর পানি বাড়তে থাকে। এতে নদী এলাকায় নতুন করে বন্যার আশঙ্কা দেখা দেয়। বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর নতুন করে যারা চাষবাস শুরু করে তাদের ফসল নিয়েও বেশ চিন্তায় রয়েছে।
শনিবার থেকে পানি কমতে থাকায় স্থানীয় চাষিদের কিছুটা চিন্তা কমেছে মাত্র। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদী তীরবর্তী নিচু এলাকার আমন ধান শাকসবজি ও চরাঞ্চলের কৃষকের আউশ, মরিচ রোপা আমন, বীজতলা, শাকসবজি ও গাইনজা ধানের আবাদ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যায় যেসব এলাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে সে এলাকাগুলো হলো, সারিয়াকান্দি পৌরসভার দক্ষিণ হিন্দুকান্দি, ছাগলধরা, ডোমকান্দি, নারচি নিজ বরুরবাড়ী, হাটশেরপুর ইউপির হাসনাপারা, শাহানবান্দা।
এছাড়াও চর এলাকার ৫টি ইউনিয়নের নিচু এলাকার ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। যমুনা ও বাঙ্গালী উভয় নদীর পানি কমতে থাকায় নদী পারের লোকজনের আতংক কিছুটা কমেছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, শনিবার সকাল ৬টায় যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরে বিকালে এই পানি কমতে থাকে। আগামী দুই একদিনের মধ্যে পানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল