সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের টেকনিক্যাল কাজের স্বীকৃতিসহ বেতন বৈষম্য দূরীকরণে লাগাতার কর্মবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার সকাল ৯টায় সারা দেশের ন্যায় সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের উদ্যোগে শতাধিক স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতি শুরু হয়। এতে উপজেলার ২৯০ টিকাদান কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। স্বাস্থ্য সহকারীদের এই আন্দোলন কর্মসূচিতে সেবা প্রদানে কর্মবিরতি ঘোষণা করায় প্রান্তিক পর্যায়ে সেবা প্রত্যাশীরা কাঙ্খিক সেবা না পেয়ে হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরছে, সেই সাথে টিকাদান কার্যক্রমও মারত্মক ভাবে ব্যাহত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের নির্দেশনায় বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন সারাদেশে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাভারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন সাভার শাখা কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা জানান, বিষয়টি সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের বিষয়, সকলের ভালো হয় এমন সিদ্ধান্তই তারা নিবেন আশা করা যায়। তবে বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন এর এই দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতির ফলে সারা দেশে ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকা দান কেন্দ্রের মধ্যে প্রতি দিন ২০ হাজার কেন্দ্র থেকে মা ও শিশু টিকা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাই বিষয়টির আশু সুরাহা না হলে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই ‘শিশু ও মাতৃ স্বাস্থ্য’ সেবা কার্যক্রম ব্যহত হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন