কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন মামলার আসামি দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থী।
রবিবার বিকেলে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেন ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি রেকর্ড করেন। শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার বিষয়টি স্বীকার করেছেন দুই শিক্ষার্থী।
এর আগে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ওই দুই শিক্ষার্থীকে। পরে বেলা দুইটায় শিক্ষার্থী আবু বক্কার ও সবুজ ইসলাম নাহিদকে আদালতে নেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক নিশি কান্ত সরকার।
পুলিশ সূত্র জানায়, বেলা দুইটার দিকে দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আবু বক্কার ও সবুজ ইসলাম নাহিদকে পুলিশের কড়া পাহারায় আদালতে নেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরপর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেন তার খাসকামরায় প্রথমে সবুজ ইসলাম নাহিদ জবানবন্দি নেন। ঘণ্টাব্যাপী জবানবন্দি শেষে আলাদাভাবে আবু বক্কারের জবানবন্দি নেওয়া হয়। বিকেল পাঁচটার পরে জবানবন্দি শেষে পুলিশের কড়া পাহারায় প্রিজন ভ্যানে করে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে শনিবার বিকেলে মামলার অপর দুই আসামি মাদ্রাসা শিক্ষক আল আমিন ইউসুফ আলী একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। তারা ভাস্কর্য ভাঙচুরে জড়িত দুই শিক্ষার্থীকে ঘটনার পর পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন বলে জবাবন্দীতে স্বীকার করেন।
গত ৫ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর মামলায় গ্রেফতার করা হয় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়া ওই চার শিক্ষক-শিক্ষার্থী। এর আগে গতকাল জবানবন্দি দেয় দুই শিক্ষক।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন