নরসিংদীতে এনজিও কর্মীর হাতের কব্জি কেটে ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। এ মামলার প্রধান আসামি রুবেল ও বাদশা এবং তাদের দুই সহযোগীকেও একই সাথে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের র্যাব ১১ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব ১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম। এর আগে সকালে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নরসিংদীর মাধবদী বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন রুবেল মিয়া (২১), আব্দুল কালা মিয়া (২২), মাহাবুবা হাজার মেরিনা (২২) ও মিঠি বেগম (২৩)।
ছিনতাই হওয়া ২ লাখ ৬৩ হাজার টাকার মধ্যে ১ লাখ ৯১ হাজার ৫শ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। সাথে উদ্ধার হয়েছে ১টি গেঞ্জি, ১ টি কাপ ও ভিকটিমের মোবাইল ফোন।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ১৫ ডিসেম্বর এনজিও কর্মী শান্তা আক্তার (৩১) নরসিংদী শহরের পশ্চিমকান্দা পাড়া এলাকা থেকে ঋণের কিস্তির টাকা আদায় করে শহরের বাজিড় মােড়ের অফিসে ফেরার সময় গ্রেফতারকৃত আসামি রুবেল মিয়া ও আব্দুল বাদশা মিয়া পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নরসিংদী জেলার সদর থানাধীন পশ্চিম কান্দাপাড়া সরকারী মহিলা কলেজের সামনে ওঁৎ পেতে থেকে ভিকটিম এনজিও কর্মীর রিকশার গতিরােধ করে। এসময় তার টাকা ভর্তি ভ্যানিটি ব্যাগ রুবেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখন এনজিও কর্মী তার টাকার ব্যাগটি ধরে রাখতে চাইলে তার সহযােগী বাদশা তার হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে এনজিও কর্মীরি বাম হাতের কব্জিতে সজোরে কোপ দিলে তার কজি কেটে যায়। তাকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ফেলে রেখে টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনতাই করে কৌশলে পালিয়ে নরসিংদী সদর থানাধীন ব্রাক্ষণপাড়ায় রুবেলের শ্বশুর বাড়িতে আত্মগােপন করে থাকে। তারা উক্ত বাসায় এনজিও কর্মীর ভ্যানিটি ব্যাগটি আগুনে পুড়িয়ে ফেলে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাশের সিসি ক্যামেরায় উক্ত ছিনতাইয়ের দৃশ্য ধারণ হয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার হলে দেশব্যাপী চাঞ্চলা সৃষ্টি হয়। উক্ত ঘটনায় আশা এনজিও কর্মীর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ইসমাইল শিকদার বাদী হয়ে নরসিংদী জেলার নরসিংদী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামি রুবেল মিয়া ও আব্দুল বাদশা মিয়া উক্ত এনজিও কর্মীর হাতের কবজি কাটা ও ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত সকলেই পেশাদার ছিনতাইকারী এবং বিভিন্ন অসামাজিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তাদের মধ্যে রুবেলের নামে ৪টি, বাদশার নামে ৮টি এবং মিঠি বেগমের নামে ২টি মামলা চলমান রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা