বগুড়ার শিবগঞ্জ থানা পুলিশের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ মানববন্ধন বর্মসূচি পালনকারীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বিহার বন্দরে একই ইউনিয়নের বাগিচা পাড়া গ্রামের আফজাল মতল্লির ছেলে শিমুল মিয়া (২৭) হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচি থেকে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা দুপুরে হত্যা মামলার আসামি ইউপি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলামের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ে হামলা করার চেষ্টা করে।
এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা প্রথমে বাধা প্রদান করে এবং পরে ওই হামলার ভিডিও ধারণ করতে গেলে বিক্ষুব্ধ জনতা এ সময় পুলিশের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে। এ সময় পুলিশ সদস্য আবু বক্করকেও লাঞ্চিত করে। খবর পেয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ সময় বাগিচাপাড়া গ্রামের মৃত মিয়াজানের ছেলে শাহ আলমকে আটক করে। এ ব্যাপারে নিহত শিমুলের বড় ভাই মামলার বাদী ইউপি সদস্য রায়হান আলী বলেন, মানববন্ধনের কিছু ব্যানার ফেস্টুন গাছে শাটানোর সময় পুলিশ সদস্যরা ভিডিও ধারণ করছিল। এই ভিডিও দারণ নিয়েই ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।
বগুড়ার শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ এসএম বদিউজ্জামান বলেন, কর্তব্যরত পুলিশের কাজে বাধা ও পুলিশকে লাঞ্ছিত করার কারণে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কর্তব্যরত বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার এএসআই খায়রুল বাসার বলেন, মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভকারীরা ইউপি চেয়ারম্যানের নির্মাণাধিন বিল্ডিং ভাঙচুর করার সময় ভিডিও ফুটেজ নিতে গেলে ইউপি সদস্যর ছোট ভাই রবিউল ইসলামের নির্দেশক্রমে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এক পর্যায়ে জোরপূর্বক মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করে। প্রথমে তাদের বাধা প্রদান করা হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকালে বক্তব্য প্রদান করেন নাগরিক ঐক্যর নেতা বাদশা মিয়া, ব্যবসায়ী সাজু ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, আব্দুল আলীম, রুবেল মিয়া, আফজাল হোসেন, রবিউল ইসলাম।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন