বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ১০০ বলের ময়মনসিংহ প্রিমিয়ার লিগের (এমপিএল) প্রথম আসরে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ময়মনসিংহ থান্ডার্স ও রাইডার্স। শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টায় নগরের সার্কিট হাউস মাঠে শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দল দুটি।
বৃহস্পতিবার প্রথম সেমিফাইনালে ঈগলসকে ৭ উইকেটে হারায় ময়মনসিংহ থান্ডার্স এবং দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সিক্সার্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জয় পেয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে রাইডার্স।
ময়মনসিংহ মাস্টার্স ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এ টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে সকালে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিতে ওঠা ময়মনসিংহ থান্ডার্স।
ব্যাটিংয়ে নেমে সৈকত আলীর ৩২ ও শেষ দিকে মুনের ব্যাটিং ঝড়ে ঈগলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৫৯ রান। গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচের দুটিতেই ম্যাচ সেরা হওয়া শুভাগত হোম এদিনও নেন ৩ উইকেট। থান্ডার্সের আরেক বোলার তৌহিদ নেন ২ উইকেট।
জবাবে ১৬০ রানে তাড়া করতে নেমে ওপেনার সামির ৬৫ রানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ফাইনালের স্বপ্ন দেখতে থাকে ময়মনসিংহ থান্ডার্স। শেষ দিকে বঙ্গবন্ধু প্রিমিয়ার লীগের সর্বকনিষ্ঠ হাফ সেঞ্চুরিয়ান তৌহিদ হৃদয়ের ৩৩ বলে অনবদ্য ৪৬ রান ও অলরাউন্ডার শুভাগত হোমের মাত্র ৮ বলে ২৬ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে থান্ডার্স পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে। এরই মধ্য দিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে নাম লেখায় হার না মানা এ দলটি।
দুপুরে অপর সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় ময়মনসিংহ রাইডার্স ও সিক্সার্স। টসে জিতে ব্যাট করতে নামে সিক্সার্স। তবে বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে সিক্সার্সকে চেপে ধরার চেষ্টা করে রাইডার্স বোলাররা। ৮ ওভারে ৩৭ রানে ৩ উইকেট ও ১৩ ওভারে ৬৭ রানে ৫ উইকেট হারালে এক প্রান্ত আগলে রাখেন সান। সানের অপরাজিত ৪৭ রানের ওপর ভর করে নির্ধারিত ১০০ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রানের পুঁজি করে সিক্সার্স।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে উত্তম ও মুনিরের উদ্বোধনী জুটিতে আসে গুরুত্বপূর্ণ ৩৩ রান। এরপর অষ্টম ওভারের প্রথম বলে সাগরের ডেলিভারিতে আজমিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৭ রানে সাজঘরে ফেরেন জাতীয় ক্রিকেট তারকা সাব্বির রহমান।
দলের এ আইকন প্লেয়ারের বিদায়ের পর বিরতিতে আরও ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ায় ১৪ ওভার ৩ বলের মাথায় রাইডার্সের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৯২। শেষ দিকে ম্যাচ সেরা ফাহিমের ২১ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৫ উইকেটের জয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে রাইডার্স।
বিডি প্রতিদিন/এমআই