দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ খুরশীদ আলম মতিকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদিকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বহিস্কারের আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। নইলে অনেকে গণপদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অপরদিকে, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভি সাক্ষরিত চিঠিতেও একই কথা বলা হয়েছে।
জানা গেছে, আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ফুলবাড়ী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ফুলবাড়ী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাদৎ আলীকে। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন বহিষ্কৃত ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি খুরশীদ আলম মতির ছোট ভাই মাহমুদ আলম লিটন।
তৃণমুলের নেতা-কর্মিরা বলেন, ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম মতি একজন জনপ্রিয় নেতা। তার হাতেই ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপি পুনর্গঠন হয়েছে। তাকে বহিষ্কার করে বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের হতাশ করেছে।অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম মতিকে বাদ দিলে অভিভাবকহীন হয়ে পড়বে উপজেলা বিএনপি। এই কারণে তারা বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম মতি সাংবাদিকদের জানান, উপজেলা বিএনপির সিদ্ধান্ত ছাড়ায় কয়েকজন জেলা বিএনপির সদস্যের মনগড়া মতামতের উপর ভিত্তিকরে একজন জনসমর্থহীন ব্যক্তিকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তার ছোট ভাই মাহমুদ আলম লিটন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পৌর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করলেও, দলীয় প্রার্থী না হওয়ায় সেই নির্বাচনের কার্যক্রমেও তিনি অংশগ্রহণ করেননি।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন