গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ এলাকায় একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও একজন নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। আশরাফ নামের ওই ব্যক্তি ওই কারখানার মেকানিক্যাল শাখায় কর্মরত ছিলেন। এ নিয়ে দুইজনের নিখোঁজের কথা স্বজনরা বললেও কারখানা কর্তৃপক্ষ বলছে একজন নিখোঁজ ছিল। তার লাশ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার বিকেলে আশরাফ হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন সুলতানা জানান, আগুন লাগার সময় তিনি ওই কারখানার দ্বিতীয় তলায় কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার অগ্নিকাণ্ডের প্রায় এক ঘণ্টা আগে বিকেল চারটার দিকে সবশেষ তিনি তার স্বামীর সাথে মোবাইলে কথা বলেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে তার স্বামী আশরাফের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার রাতে কারখানা কর্তৃপক্ষ তার স্বামীর সন্ধান দিতে পারেনি। পরে শুক্রবার সকালে কারখানায় গেলে আশরাফ হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে জানায়। কিন্তু ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা আলহেরা হাসপাতাল ও ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতাল খুঁজে ভর্তিকৃত আহতদের মধ্যে তার স্বামী আশরাফের সন্ধান পাননি।
নিখোঁজ শ্রমিক আশরাফের ব্যাপারে কারখানার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) হাসিবুর রহমান জানান, দমকল বাহিনী ও পুলিশ প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাদের তল্লাশিতে পরবর্তী সময়ে আর কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। দগ্ধ একজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তাকে আলমগীর হোসেনের মরদেহ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার বাড়ি শ্রীপুর পৌরসভার উজিলাব গ্রামে। তারপরও নিশ্চিতের জন্য তার মরদেহ ডিএনএ টেস্টের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নিখোঁজ আশরাফের সহকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে আশরাফ ওই সময় কারখানায় কর্মরত ছিলেন। যেহেতু তিনি নিখোঁজ রয়েছেন, সেহেতু তার সন্ধানের জন্য তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন জানান, শ্রমিক নিহতের ঘটনায় শুক্রবার একটি মামলা হয়েছে। নিহত শ্রমিক আলমগীর হোসেনের স্ত্রী সালমা খাতুন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় কারখানা কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে মামলার এজাহারে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই