কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার আব্দুল্লাহপুরে গায়ে হলুদে মেয়েদের উত্ত্যক্ত নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে দুই যুবকের নিহতের ঘটনায় দেবিদ্বার থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় দায়ের করা হয়েছে। দুই মামলায় ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। মোঃ বাছির মিয়া (২৩) নামের এক আসামিকে গ্রেফতারের পর শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
সূত্র জানায়, মুরাদনগর উপজেলার গুঞ্জর গ্রামের নিহত রাহিমের পিতা মো. নজরুল ইসলাম ওরফে আবু হানিফ বাদী হয়ে দেবিদ্বার উপজেলার অবদুল্লাহপুর গ্রামের ছয় যুবককে আসামি করে দেবিদ্বার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অপর নিহত দেবিদ্বার উপজেলার জীবনপুর গ্রামের সাইফুলের বাবা হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১২ জনকে আসামি করে আরো একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুর রহমান জানান, সংঘর্ষে দুই যুবকের নিহতের ঘটনায় দেবিদ্বার থানায় দুইটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এজাহারভুক্ত আসামি মো. বাছির মিয়াকে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করেছি। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও বাকি আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে আবদুল্লাহপুর গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খুনের ঘটনায় এলাকা এখনও থমথমে। ইনসাফ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রেখেছে। এলাকায় এখনও মোতায়ন রাখা হয়েছে পুলিশ। ইনসাফ মার্কেটের ব্যবসায়ী মো.আল মামুন, আবু জাহের জানান, সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডের পর থেকে আব্দুল্লাহপুর এলাকার পরিস্থিতি এখনও থমথমে, বাড়িঘরে তেমন কোন লোকজন নেই। অজানা আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা দোকান খুলছে না, ক্রেতারাও আসছে না।
উল্লেখ্য, দেবিদ্বারের আবদুল্লাহপুর গ্রামের ওমান প্রবাসী জাকির হোসেনের মেয়ে নাজমা আক্তারের সাথে একই উপজেলার বুড়িরপাড় গ্রামের প্রবাসী হোসাইন মিয়ার মোবাইল ফোনে বিয়ে হয়। সম্প্রতি হোসাইন মিয়া দেশে আসেন। ওই বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল বৃহস্পতিবার। বুধবার রাতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৫জন। বুধবার রাত ১টার দিকে দেবিদ্বার উপজেলার আব্দুল্লাহপুর ইনসাফ মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল