ঝালকাঠি জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের হার বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি জেলায় ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা আশংকাজনকভাবে বাড়ছে। প্রতিদিন এ রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন অনেক রোগী। হাসপাতালে শিশুসহ সকল বয়সের রোগী আসছে। হাসপাতালে ডায়রিয়ার রোগীর জন্য বিছানা রয়েছে ১৩টি। বাধ্য হয়ে রোগীরা হাসপাতালের বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে জেলার নলছিটি, রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকাল থেকে শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছেন। কঠোর লকডাউনের কারণে যানবাহনের অভাবে গ্রাম থেকে রোগীরা হাসপাতালে আসতে নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
চিকিৎসকরা জানান, প্রচন্ড গরমে গত এক সপ্তাহ ধরে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার মানুষ। বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন এক হাজারেরও বেশি রোগী। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্ক। এদিকে হাসপাতালে পর্যাপ্ত আইভি স্যালাইন ও খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি অন্যন্য ওষুধ রয়েছে। বর্তমানে তরমুজ-বাঙ্গিও অপরিপক্ক আম খেয়ে অসুস্থ হওয়ার সংখ্যাই বেশি। আক্রান্ত রোগীকে বিশুদ্ধ পানি পান ও নিরাপদ খাবার খাওয়ার পাশাপাশি শিশু ও বয়স্কদের নিরাপদে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে আগত ডায়রিয়া রোগীদের মধ্যে একটি অংশ করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা।২৪ ঘণ্টায় ঝালকাঠিতে আরও ৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এই নিয়ে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১০৮৭ জন। জেলায় মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। সুস্থ হয়েছে ৮৫৬ জন। বর্তমানে ৩ জন হাসপাতালে ও ২০৩ জন হোম আইসোলিয়েশনে রয়েছে। ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী এই তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে ঝালকাঠিতে করোনা ভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শহরে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী দূরত্ব বজায় না রাখা, মাস্ক ব্যাবহার না করা এবং বিধি বহির্ভুুত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দায়ে ৯টি মামলায় ৯ জনকে ৬২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার দিনের ১ম অর্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুমা আক্তার ও সায়েম ইমরান এই দণ্ড প্রদান করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল