সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় করোনা সংক্রমণের হার না কমায় চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বর্ধিত করে ১৭ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শনিবার সকাল থেকে এই লকডাউন কার্যকর হবে। এর আগে ৫ জুন ঘোষিত সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে শুক্রবার রাতে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৫ জনের নমুনায় করোনা ৪৮ জনের করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছে। শনাক্ত হার ৫৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ থেকে নেমে ৫০ দশমিক ৫২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া করোনার উপসর্গ জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলা ব্যাথা নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই নারীসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তারা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পরানদহা গ্রামের রুপবান বিবি (৫৫), একই উপজেলার আখড়াখোলা আমতলা গ্রামের রিজিয়া খাতুন (৩৫), ভোমরা ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের রুহুল কুদ্দুস (৫৫) ও শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার কামরুজ্জামান (৬৫)। জেলায় এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১৪৫ জন।
এনিয়ে জেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মোট ২৩৩ জন। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন জেলায় মোট ৪৯ জন।
এদিকে, করোনার ঊর্ধ্বমুখী গতি নিয়ন্ত্রণে সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের ষষ্ঠ দিনে পুলিশ সাতক্ষীরা শহরের মোড়ে মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে চেকপোস্ট বসিয়ে মানুষ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে খুলনা ও যশোর থেকে সাতক্ষীরায় প্রবেশের পথ। কিন্তু হাট-বাজারের সাধরণ মানুষ কোন ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। ভোমরা স্থলবন্দরে সীমিত পরিসরে চলছে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। তবে ভারতীয় চালক ও হেলপাররা যাতে খোলামেলা ঘুরে বেড়াতে না পারেন সে জন্য পুলিশ ও বিজিবির নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া লকডাউনের মধ্যে দোকানপাট খোলা রাখা, স্বাস্থ্যবিধি না মানাসহ বিভিন্ন অপরাধে জেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৫০ টি মামলায় ৩২ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল জানান, চলমান এই লকডাউন আরও এক সপ্তাহের জন্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা আগামী ১৭ জুন রাত ১২ টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এ সময় তিনি জেলাবাসীকে লকডাউনের সকল বিধি নিষেধ মেনে চলার জন্য আহ্বান জানান।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন