শিশু হত্যাকারী সরকার এবং তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে ইরানকে দাঁড়াতে হবে এবং নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। এই অবস্থান ইরানের প্রতি শত্রুতার বাড়ালেও দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা বলেছেন, তেহরান এই ধারা অব্যাহত রাখবে।
এক সভায় ইরানি ত্রাণকর্মীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি গাজায় আগ্রাসন চালানো ইসরায়েলি সেনাদের মানুষের আকৃতির বন্য প্রাণীর সাথে তুলনা করেছেন। যারা অ্যাম্বুলেন্সে বোমা মেরে, হাসপাতালে বোমা মেরে, অসুস্থদের বোমা মেরে এবং নির্দয়ভাবে নিরীহ ও অসহায় শিশুদের নির্মূল করে।
খামেনি বলেন, ‘কে দাবি করতে পারে এবং সত্যিকার অর্থে বিশ্বাস করতে পারে যে এই বর্বরতা, এই রক্তপিপাসুতার মুখে, একজন মানুষের কোনও দায়িত্ব নেই? কে বলতে পারে? আমাদের সকলের কর্তব্য আছে।’
খামেনি বলেন, এই নিপীড়ক সরকারগুলো বর্তমানে বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করছে এবং ইরান বিশ্বব্যাপী বিদ্যমান পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য তাদের মুখোমুখি হচ্ছে।
খামেনি আরও বলেন, ইরানের আন্দোলন, ইসলামি প্রজাতন্ত্রের দৃঢ়তা এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্র বারবার যে ‘নতুন সভ্যতার’ কথা উল্লেখ করে এগুলো সবই বিশ্বের এই অবস্থার মোকাবিলা করার লক্ষ্যে তৈরি।
খামেনি বলেন, নিপীড়নের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিরোধই দেশটির প্রতি কিছু পশ্চিমা রাষ্ট্রের শত্রুতার মূল। খামেনির ভাষায় এই কর্তব্যবোধই এই পশ্চিমা, সুসজ্জিত, সুগন্ধি পরিহিত এবং সুন্দর চেহারার বর্বরদের মতো শত্রুদের ইরানের বিরুদ্ধে শত্রুতা পোষণ করতে বাধ্য করে।
খামেনি বলেন, আপনি যদি এই বর্বরতার বিরুদ্ধে আপত্তি না করেন, যদি আপনি তাদের সাথে যান, এমনকি যদি আপনি তাদের প্রশংসাও করেন, তবে তাদের আপনার প্রতি কোনও শত্রুতা থাকবে না।
সূত্র: প্রেস টিভি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল