গোপালগঞ্জে কঠোর লকডাউনের ষষ্ঠ দিনে এসে কোনো বিধিনিষেধ মানছেন না সাধারণ মানুষ। তবে লকডাউন কার্যকর করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা শনাক্তের হার শতকরা ৪৯ ভাগ।
রবিবার সকালে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, জেলা শহরের পুরাতন বাজার রোড, কাপড় পট্টি, চৌরঙ্গী ও লঞ্চঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। অনেকেই অপ্রয়োজনে বাইরে বের হয়েছেন। আবার অনেকেই মাস্ক না পরে বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন। কাঁচাবাজারের বিভিন্ন দোকান ও মার্কেটে একে অপরের সংস্পর্শে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে।
শহরের দোকানপাট বন্ধ রাখার ঘোষণা থাকলেও ব্যবসায়ীরা তা মানছেন না। দোকানে এক দরজা খোলা রেখে চুপিসারে করছেন বেচাকেনা। তবে প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেলে সাথে সাথে বন্ধ করে দেন আবার চলে যাওয়ার সাথে সাথে খুলে দেন।
ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল ও গোপালগঞ্জ-রাজশাহী রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে জেলা শহরে অধিক সংখ্যক ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, রিকশা-ভ্যান চলাচল করতে দেখা গেছে। এসব যানবাহনে অধিক যাত্রী পরিবহন করার পাশাপাশি ভাড়া দ্বিগুণ নিচ্ছেন চালকরা।
লকডাউন কার্যকর করতে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে। শহরের ঢোকার মুখে ও শহরের পাড়া-মহল্লার রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। দোকান বন্ধ রাখতে ও মাস্ক পরিধানে বাধ্য করতে চালানো হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ম্যাজিস্ট্রেটরা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা এসব আদালত পরিচালনা করছেন।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার শতকরা ৪৯ শতাংশ। এছাড়া জেলায় মোট ২৫ হাজার ৫১০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৬৬৯ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার আটজন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই