মেহেরপুর সদর উপজেলার বলিয়ারপুর গ্রামের আলম হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার স্ত্রীসহ ৪ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডাদেশ দিয়েছেণ আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন ।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নিহত আলমের স্ত্রী ও মেহেরপুর গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামের আছান আলীর মেয়ে সাফিয়া খাতুন, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের আসির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে খোকন, চুয়াডাঙ্গার শংকর চন্দ্রপুর গ্রামের টেঙ্গর ওরফে হোসেন আলীর ছেলে মুকুল এবং চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আসাদুল।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ৩১ জুলাই আলমের স্ত্রী সাফিয়ার সাথে পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরেই সাফিয়ার নেতৃত্বে আসামিরা আলমকে কৌশলে ডেকে নিয়ে মেহেরপুর সদর উপজেলার বলিয়ারপুর গ্রামের জনৈক আসান আলীর পাটক্ষেতে তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে। প্রথমে অজ্ঞাত হিসেবে লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশের তদন্ত শেষে নিহত আলমের স্ত্রী সাফিয়াকে গ্রেফতার করার পর আলম হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়। পরে আলমের স্ত্রীর সাথে অন্য আসামিদের গ্রেফতার করলে পরকীয়ার বিষয়টি পরিষ্কার হয়। সেসময় আলমের স্ত্রী সাফিয়া জানান- আলমকে জবাই করে হত্যা করার পর লাশের পাশে তারা অন্তরঙ্গ হয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন।
এই ঘটনায় মেহেরপুর সদর থানার তৎকালীন এসআই শওকত আলী বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন বাড়াদী ক্যাম্প ইনচার্জ আব্দুস সালাম মিয়া প্রাথমিক তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় মোট ১৫ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত