ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হয়েছে। রাজবাড়ী ঢাকা ছাড়তে শুরু করছে মানুষ। দেশের অন্যতম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়াতে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই নৌপথ ব্যবহার করে বাড়ি ফিরছেন।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটেছে। প্রায় ১ কিলোমিটারের এই সড়কে রয়েছে সারি সারি কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছ। দূর থেকে দেখে মনে হয় সবুজের মাঝে লাল আলো জ্বলছে। চোখ জুড়ানো অপরূপ এই দৃশ্য যেন যাত্রীদের স্বাগত জানাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা যায়। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসছেন সঞ্চিতা দেবনাথ। তিনি বলেন, মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। প্রতি বছর এই সময় সড়কের দুপাশে ফুল ফোটে। দেখতে সত্যি ভালো লাগে।
দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালে আসা যাত্রী তিন্নি আক্তার বলেন, সাত নম্বর ফেরিঘাট দিয়ে রিক্সায় বাস টার্মিনাল পর্যন্ত এসেছি। ফেরিঘাট থেকে টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কের দুইপাশে কৃষ্ণচূড়া গাছ। সবগুলো গাছে ফুল ফুটেছে। সারা পথের ক্লান্তি অপরূপ এই দৃশ্য সরিয়ে দিয়েছে। গাছগুলো যেন রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় এমন দাবিও তার।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহে এই ফুলগুলো ফোটে। ঈদের সময় ফুলগুলো ঘরে ফেরা মানুষ দেখেন। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য এখানে। প্রতিবছর ঈদযাত্রায় যেন স্বাগত জানাতে ফুলগুলো ফোটে। এছাড়া প্রতিদিন বিকালে বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে দর্শনার্থীরা আসেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লি উটিসি) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের সহকারি মহা-ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দীন বলেন, আমরা তো সব সময় ফেরিঘাটে কাজ করি। আমাদের এই কৃষ্ণচূড়া ফুলগুলো সবসময় দেখা হয়। রাস্তার পাশে কৃষ্ণচূড়ার এই সৌন্দর্য আমাদের বিমোহিত করে। আমার কাছে মনে হয় ঈদযাত্রীদের স্বাগত জানাতে প্রকৃতি এই ফুলগুলো উপহার আমাদের উহার দেয়।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল