বগুড়ার শেরপুরে ভাতিজিকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বসতবাড়িতে হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র এক বখাটে ও তার লোকজন। এসময় দুই চাচাকেও উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে গুরুতর আহত হন তারা। পরে স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিক বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের বাগড়া কলোনী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
বখাটেদের সশস্ত্র হামলায় আহতরা হলেন, উপজেলার বাগড়া কলোনি গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে আলী আজম (৩২) ও তার ভাই আব্দুল আজিজ (২৮)। এরমধ্যে আলী আজমের অবস্থা গুরুতর বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আব্দুল আজিজ জানান, তার বড় ভাই আলম হোসেন ঢাকায় চাকরি করেন। সে কারণে ভাই ও ভাবি সেখানে থাকলেও তাদের দুই মেয়ে আমাদের সঙ্গে থেকে স্থানীয় বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে। এরমধ্যে বড় ভাতিজি শেরপুর পৌশহরে অবস্থিত শেরউড স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী। কিন্তু বেশকিছুদিন ধরেই আমার এই ভাতিজিকে উত্যক্ত করে আসছে বাগড়া কলোনী গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে বখাটে সজিব হাসান। বিষয়টি জানতে পেরে বখাটে সজিবকে উত্যক্ত করতে নিষেধ করা হয়। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এমনকি আমার ও ভাই আলী আজমের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বখাটে সজিব। এরই জেরধরে শুক্রবার দিবাগত রাতে আমাদের বসতবাড়িতে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। এসময় আমাকে ও ভাইকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়। একপর্যায়ে মৃত ভেবে রক্তাক্ত অবস্থায় আমাদের ফেলে রেখে সশস্ত্র বখাটেরা পালিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন তিনি। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। ভুক্তভোগীসহ সবার সঙ্গে কথা বলেছি। সেইসঙ্গে তাদের থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ঘটনায় জড়িত হামলাকারীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন