৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৬:৩৩

জেঁকে বসছে শীত, লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি

জেঁকে বসছে শীত, লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার হাটবাজারগুলিতে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কারিগররা। শীত নিবারণের জন্য লেপ তোষক তৈরিতে ক্রেতারাও ভিড় করছে দোকানে। অনেকেই আবার নিজের সংগ্রহে থাকা পুরোনো লেপ-তোষক সংস্কার করে নিচ্ছেন। 

উপজেলার নয়াবিল, নন্নী, বারমারী, বরুয়াজানী, চারআলী, পাঁচগাও ও নাকশী বালুঘাটা বাজারসহ বিভিন্ন হাটবাজারে ও পৌরশহরের লেপ-তোষক তৈরীর দোকান গুলোতে গিয়ে দেখা যায়, মালিক-শ্রমিক লেপ-তোষক তৈরীর সেলাইয়ের কাজ করছেন। তারা জানান, শীত মৌসুমের শুরুতেই ক্রেতারা দোকানে পছন্দমতো লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার দিয়ে রেখেছেন।

পৌরশহরের মো.জহিরুল ইসলাম ভুট্টু (৪৫) বলেন, শীত বাড়ছে, তাই পুরাতন লেপের তুলা বদলিয়ে নতুন কাপড় দিয়ে সেলাই করে নিচ্ছি। 

কয়েকজন দোকানী জানান, প্রতিটি লেপ-তোষক বানাতে মজুরি হিসেবে ১৫০-২০০ টাকা করে খরচ হয়। একজন কারিগর দিনে ৫টি লেপ তৈরী করতে পারে। প্রতিটি লেপ ৯০০ থেকে ১১০০ টাকা, তোষক ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা এবং জাজিম ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খুচরা বিক্রি করা যায়। শীতের তীব্রতা বাড়লে লেপ-তোষক বিক্রির হারও বেশি হয়।
 
তারা আরও বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর লেপের তুলার দাম একটু বেশি। প্রতি কেজি কালো তুলার দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিমুল তুলা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, সাদা তুলা ৯০-১০০ টাকা ও কাপাশ তুলা ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে কিনতে হচ্ছে। 

দোকানদার হাবিবুর রহমান হবি বলেন, বছরের প্রায় আট মাস তেমন বেশি কাজ হয় না। এখন শীত কালে কাজের সুযোগ বেশি, আয়-ইনকামও বেশি। তাই চার মাসের কাজের পারিশ্রমিক দিয়ে আমাদেরকে বাকি আট মাস চলতে হয়।

এদিকে বাজারে কম্বলের তুলনায় লেপের দাম কম থাকায় চাহিদা বেশি। তাই বেশি আয়ের আশায় দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন এ উপজেলার লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর