ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ২০ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের বাহিরনগরে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা বিজয়ের আনন্দে নিজেদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণকালে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায় পরাজিত নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা। এতে গুরুতর আহত হন ভীমপুর গ্রামের ওয়াজিদ শেখের ছেলে ফিরোজ শেখ (৬০) ও সিরাজ শেখ (৫৫), বাহিরনগর গ্রামের কুবাদ আলী মোল্যার ছেলে হিমায়েত হোসেন হিটলু। তাদের বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে ফিরোজ ও সিরাজ শেখের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে। হামলায় নারী-পুরুষসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
অপরদিকে ময়না ইউনিয়নের বান্দুগ্রামে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী মো. ওমর ফারুকের সমর্থক বান্দুগ্রামের ইমরান হোসেন, মোফাজেল পরামানিক, বশির মোল্যা, আব্দুর রহিম, নিটুল পরামানিক, খোকন বিশ্বাস আহত হয়েছেন। আহতরা বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৯নং ওয়ার্ডের বিজয়ী ইউপি সদস্য মো. বাচ্চু মোল্যা ও পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী মো. ওমর ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যান।
বোয়ালমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম