চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নে পুনরায় ভোট গণনার দাবি করে জেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ৫ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দুই ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী। তারা হলেন-মো. শফিকুল ইসলাম ও নেফাউর রহমান।
ইউপি সদস্য প্রার্থী শফিকুল ইসলাম অভিযোগে উল্লেখ করেন, সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য পদে ফুটবল প্রতীক নিয়ে তিনি গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। একই ওয়ার্ডে মোরগ প্রতীকের প্রার্থী মুনজুর আলী তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন। নবাব জায়গীর রহমানিয়া ও আব্দুস সামাদ কলেজ কেন্দ্রে এই ওয়ার্ডের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল পরিবর্তন করে মোরগ প্রতীক মুনজুর আলীকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য প্রার্থী শফিকুল জানান, এলাকার ভোটাররা তাকে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু প্রিজাইডিং অফিসারের যোগসাজশে তাকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানান।
অপরদিকে, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোরগ প্রতীকের প্রার্থী নেফাউর রহমান লিখিত অভিযোগে জানান, তার ওয়ার্ডের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় পাররামকৃষ্ণপুর বাবলাবোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। ভোটের পর গণনা শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তালা প্রতীকের ৮৯৮টি ভোট ও মোরগ প্রতীকের ৮২৩ ভোট উল্লেখ করা হয়। প্রকৃতপক্ষে তালা প্রতীকের ৮১৮টি ভোট হবে।
জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মোতাওয়াক্কিল রহমান জানান, অভিযোগকারীদের রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে আবেদন করতে হতো। নির্বাচনের সমস্ত ক্ষমতার অধিকারী নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার। ভোট গণনা শেষে সবকিছু বস্তাভরে সিলগালা করে তারা নিয়ে আসেন, যা আমাদের খোলার কোনো আইন নেই।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের পর ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারীরা আবেদন করলে আদালত যদি ভোট পুনরায় গণনার নির্দেশ দেন, তাহলে গণনা করতে পারব।
বিডি প্রতিদিন/এমআই