ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ঘোজাডাঙ্গায় বিএসএফের বাঁধার মুখে সকাল থেকে বন্ধ হয়ে যায় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরে সব ধরণের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে দুপুর ২টার দিকে আবারও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়। মঙ্গলবার (১০ মে) ভোররাতে ভোমরা বন্দরের বিপরীতে এ ঘটনা ঘটে। ভারতীয় বিএসএফ দাবি করছে, তাদের একটি অস্ত্র হারিয়ে গেছে। অস্ত্র উদ্ধারে বাংলাদেশ সীমান্তের বিজিবির সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।
ভোমরা বন্দরের সহকারি কমিশনার আমির আল মামুন জানান, সকাল থেকেই দুপুর পর্যন্ত সব ধরণের আমদানি রপ্তানি-কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এই সময়ের মধ্যে একটি আমদানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাকও দেশে প্রবেশ করেনি। ভারতীয় বিএসএফ ভোমরা বন্দরের বিপরীতে ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তের গেট বন্ধ করে দিয়ে সেখানে অবস্থান নেওয়ার কারনে এই অচালাবস্থার সৃষ্টি হয়। তারা জানিয়েছে, তাদের অস্ত্র হারিয়ে গেছে। সেটি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। কিন্তু বেলা ২টার পর থেকে ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ভোমরা বন্দরের ওপারে বিএসএফের বাঁধার মুখে দুপুর পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আটকা পড়েছিল শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল আল মাহমুদ জানান, বিএসএফ দাবি করেছে তাদের একটি অস্ত্র হারিয়ে গেছে। এই ধরণের একটা তথ্য আমাদের দিয়েছে। বর্তমানে বিএসএফ ওদের বর্ডারে অপারেশন চালাচ্ছে। আমাদের এখানেও অপারেশন চালানোর অনুরোধ করেছে। কিছু লোক বাংলাদেশ থেকে সেখানে গিয়েছে এমন তথ্য তাদের কাছে থাকতে পারে। তবে আমাদের সেটি দেয়নি। তিনি আরও বলেন, আমাদের সীমান্ত এলাকায় আমরা অস্ত্রটি উদ্ধারে চেষ্টা করছি। ওপার থেকে ছিনিয়ে নিয়ে আমাদের বাংলাদেশের মধ্যেও চলে আসতে পারে। তবে অস্ত্রটা যে বাংলাদেশের লোক নিয়েছে এটার কোন প্রমাণিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ