বন্ধুর চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল খুঁজতে বের হয়ে হয়রান চোর নিজেই। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে চোর ধরতে দিনভর খুঁজে না পেয়ে অবশেষে মামলা করতে মোটরসাইকেলে মালিকের সাথে থানাতেও যায় চোর নিজেই। পরে পুলিশের সাথেও নামেন অভিযানে। একপর্যায়ে সিসি ক্যামেরায় চোরের গায়ের শার্ট আর খুঁজতে আসা বন্ধুর শার্টের মিল পেয়ে পুলিশ আটক করলে বেরিয়ে আসে চুরির বৃত্তান্ত।
পরবর্তীতে চোরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে চুরির অভিযোগে শুক্রবার বিকালে মেহেদি হাসান সুজাত (৩০) নামের যুবককে আটক করে মোহনগঞ্জ থানার পুলিশ। তিনি বারহাট্টা উপজেলার নৈহাটি গ্রামের আ. হাশিমের ছেলে। মোটরসাইকেল মালিক রফিকুল ইসলামের বন্ধু সুজাত একটি কোম্পানির মোহনগঞ্জ উপজেলার বিক্রয় প্রতিনিধি।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে পৌরশহরের আখড়া রোডে আনন্দ হোটেলের সামনে মোটরসাইকেল রেখে কাজে যান রফিকুল ইসলাম। দুপুরে এসে মোটরসাইকেল না পেয়ে দিনভর খোঁজাখুঁজি করে সন্ধ্যায় বিষয়টি পুলিশকে জানাতে থানায় গেলে সাথে বন্ধু সুজাতও যান। অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ বের হয় মোটরসাইকেল খুঁজতে। আশপাশে সিসি ক্যামেরার পর্যালোচনা করে মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ারত অবস্থায় চোরের গায়ে শার্টের সাথে থানায় খুঁজতে আসা সুজাতের শার্টের মিল পাওয়া যায়। এর ভিত্তিতে সাথে আসা সুজাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব স্বীকার করে মোটরসাইকেলটি বের করে দেয়।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা মোহনগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম বলেন, আশপাশের দোকানে সিসি ক্যামেরা আছে জেনেই বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে বিদ্যুৎ চলে যেতেই মোটরসাইকেল নিয়ে পালায় সুজাত। পরে পুরোটা সময় মোটরসাইকেল মালিকের সাথে তিনি নিজেও খোঁজাখুঁজিও করতে থাকেন। এমনকি থানায় অভিযোগ করার সময়ও সাথে আসেন। বিদ্যুৎ না থাকায় সিসি ক্যামেরায় ভিডিও থাকবে না এটা নিশ্চিত হয়ে টেনশন মুক্ত থেকে নিজেও খোঁজাখুঁজি করেন।
একপর্যায়ে পাশের অন্য একটি দোকানে থাকা সিসি ক্যামেরায় মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার দৃশ্যে শার্টের মিল দেখা গেলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চোরাই মোটরসাইকলেটি উদ্ধার করা হয়েছে। মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিুকল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় সুজাতের নামে মামলা দিয়ে শুক্রবারই তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর