ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের শেষ প্রান্তে অবস্থিত ভাঙ্গা ইন্টারসেকশন বা ইন্টারচেঞ্জ—যা স্থানীয়ভাবে ‘ভাঙ্গা গোলচত্বর’ নামে পরিচিত। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে জায়গাটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি দর্শনীয়ও।
তবে কয়েক সপ্তাহ ধরে সন্ধ্যা নামলেই এই গুরুত্বপূর্ণ স্থানটি অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে। শত শত সড়কবাতি থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় সেগুলো জ্বলছে না। মাঝে মাঝে জেনারেটরের সাহায্যে কিছু বাতি জ্বালানো হলেও তা স্থায়ী নয়। রাতে কয়েক দফা সামান্য সময়ের জন্য আলো জ্বলে, আবার দীর্ঘ সময় পুরো এলাকা অন্ধকারে থাকে। এতে পথচারী ও যাত্রীদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ছেন, পাশাপাশি ভোগান্তিতেও পড়ছেন স্থানীয়রা।
ভাঙ্গা পৌর এলাকার নওপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক মজিবর মিয়া (৬৪) বলেন, রাতের বেলা ভাঙ্গা গোলচত্বর থেকে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অনেক দিন ধরে বাতি জ্বলছে না। এতে রাতে যাত্রীরা গাড়ি থেকে নামলে বিপাকে পড়েন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইন্টারসেকশন কর্তৃপক্ষ সময়মতো বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় আগেও একাধিকবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছিল বিদ্যুৎ বিভাগ।
ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনের নৈশপ্রহরী সিরাজ খান জানান, প্রায় ২০-২৫ দিন আগে সাবস্টেশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ পুড়ে যাওয়ায় মূল সংযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, এখন জেনারেটর দিয়ে কয়েক ধাপে রাতে দুই-তিন ঘণ্টা লাইট জ্বালানো হচ্ছে।
ওজোপাডিকোর ভাঙ্গা আবাসিক প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, ইন্টারসেকশন এলাকার কিছু তার চুরি হয়েছে এবং তাদের সাবস্টেশনের কিছু অংশ পুড়ে গেছে। তবে আমাদের দিক থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু আছে এবং বিলও নিয়মিত পরিশোধ করা হচ্ছে। তার পুড়ে যাওয়া ও চুরির কারণে ইন্টারসেকশন কর্তৃপক্ষ আলো দিতে পারছে না।
ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জের দেখভাল করে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের শ্রীনগর (মুন্সিগঞ্জ) কার্যালয়।
এ ব্যাপারে সওজের শ্রীনগর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এস এম হানিফ বলেন, ইন্টারচেঞ্জ এলাকায় তার ও গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম চুরি হয়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ সময় বাতিগুলো জ্বালানো সম্ভব হয় না। গত ২০-২৫ দিন ধরে জেনারেটরের মাধ্যমে ২৮৫টি সড়কবাতি সীমিতভাবে চালু রাখা হচ্ছে। তবে বিরতিহীনভাবে জেনারেটর চালানো সম্ভব নয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল