গাজীপুরে পুলিশের ভয়ে তুরাগ নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার দু’দিন পর সোমবার এক মাদক সেবীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
নিহতের নাম-মো: শাহ আলম মন্ডল (৪৫)। তিনি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার মুনমুদ কুঠিপাড়া এলাকার মৃত নকু মন্ডলের ছেলে। আটককৃত রুবেল (২৮) একই এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কাশিমপুর থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর থানাধীন পালপাড়া এলাকার পৃথক ভাড়া বাসায় থাকেন শাহ আলম ও রুবেল। গত শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে স্থানীয় নামাবাজার এলাকায় তুরাগ নদীর পাড়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন তারা। এসময় এস আই আবু সাঈদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ওই এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযানে যায়। পুলিশের অভিযানের সংবাদ দিয়ে শাহ আলমকে গ্রেফতারের ভয় দেখায় রুবেল। এতে আতংকিত হয়ে তুরাগ নদীতে ঝাঁপ দেয় শাহ আলম। সে সাঁতরিয়ে নদী পার হওয়ার সময় কিছুদুর যাওয়ার পর প্রবল স্রোতে তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায় নি।
তিনি আরো জানান, নিখোঁজ হওয়ার দুইদিন পর সোমবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার ভাটিতে বাসন থানাধীন ইসলামপুর ভাঙ্গাব্রীজ এলাকায় শাহ আলমের লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় সোমবার রুবেলকে আটক করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে শাহ আলমকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিতে বাধ্য করেছে রুবেল। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তবে এলাকাবাসী জানায়, ওই এলাকায় তুরাগ নদীর পাড়ে বসে মাদক সেবন করছিল কয়েক মাদক সেবী। এ সময় কাশিমপুর থানার কনস্টেবল শফিকুলকে সঙ্গে নিয়ে এস আই আবু সাঈদ মোটরসাইকেল যোগে মাদক বিরোধী অভিযানে সেখানে যান। পুলিশের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে মাদক সেবীরা আতংকিত হয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় শাহ আলম নদীতে ঝাঁপ দিলে এ ঘটনা ঘটে।
বিডি প্রতিদিন/এএম