সুইডেনের স্টকহোমে নোবেল পুরস্কার ঘোষণার সময় ফ্রেড র্যামসডেল যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানায় হাইকিং করছিলেন। মোবাইল ফোন এয়ারপ্লেন মোডে থাকার কারণে তিনি নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি জানতেই পারেননি।
তবে সোমবার বিকেলে হাইকিংয়ের বিশ্রামের সময় হঠাৎ র্যামসডেলের স্ত্রী লরা ও’নিল চিৎকার শুরু করেন। প্রথমে র্যামসডেল ভেবেছিলেন তার স্ত্রী হয়তো কোনো ভালুক দেখেছেন। তবে লরা আরও জোরে চিৎকার করে বললেন, “তুমি নোবেল জিতেছো।”
নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে র্যামসডেল জানান, তার স্ত্রী ফোনে ২০০টি খুদেবার্তা দেখতে পান, যা তাকে নোবেল জেতার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে। প্রথমে র্যামসডেল বিশ্বাস করতে পারেননি। পরে জানা যায়, আগের রাতেই (স্থানীয় সময় রাত দুইটা) নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে ফোন করা হয়েছিল।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য র্যামসডেলসহ আরও দুই বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন। তাঁরা আবিষ্কার করেছেন ‘পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’, যা দেহের নিজস্ব অঙ্গকে ক্ষতি না করে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে। এটি অটোইমিউন রোগ নিরাময়ের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে স্বীকৃত।
র্যামসডেলের সঙ্গে নোবেলজয়ী বাকি দুই বিজ্ঞানী হলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের ইনস্টিটিউট ফর সিস্টেমস বায়োলজির সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মেরি ব্রাঙ্কো, এবং জাপানের ওসাকা ইউনিভার্সিটির ইমিউনোলজি ফ্রন্টিয়ার রিসার্চ সেন্টারের বিশিষ্ট অধ্যাপক শিমন সাকাগুচি।
ফ্রেড র্যামসডেল বর্তমানে সান ফ্রান্সিসকো সোনোমা বায়োথেরাপিউটিকস এর বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন।
বিডি প্রতিদিন/আশিক