বগুড়ার শেরপুরে বিয়ের প্রলোভনে নারী শ্রমিককে ধর্ষণে হোটেল মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম শহিদুল ইসলাম (২৯)। সে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর সরকার পাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দরিদ্র পরিবারের মেয়ে হওয়ায় তিনি শহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন একটি খাবার হোটেলে চাকরি নেন। কিছুদিনের মধ্যেই তরুণীটির ওপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে হোটেল মালিকের। পরবর্তীতে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে তিনি। এতে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই তরুণী। এসব ঘটনার পর তিনি বিয়ের কথা বললে শহিদুল গর্ভপাত করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। শহিদুলের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে বিভিন্নভাবে তাকে হুমকি-ধামকিও দেয়। পরে ন্যায় বিচারের জন্য তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার জানান, গত বুধবার রাতে ধর্ষণের শিকার ওই নারী শ্রমিক বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। এরপরই তাকে ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। এক পর্যায়ে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক সংলগ্ন উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের ধনকুণ্ডি নামক স্থান থেকে শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
ধর্ষণের শিকার ওই নারীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ওই ব্যক্তিকে শুক্রবার বগুড়ার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত