গত ১৫ দিন ধরে শেরপুরে বেগুনের দাম অনেক কমেছে। কৃষক পর্যায় থেকে বেগুন বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৮টাকা। অবশ্য চূড়ান্ত ভোক্তারা কিনছেন ১৫ থেকে ১৬ টাকায়। এখানের উৎপাদিত স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়। হঠাৎ বেগুনের দরপতন হওয়ায় বেগুন চাষিরা লোকসানে পড়েবে বলে কৃষকদের অভিমত।
চাষিরা জানিয়েছে, মৌসুমের শুরুতে বেগুনের দাম ভালো ছিল। এখন পাইকাররা প্রতিমণ বেগুনের দাম তিনশ থেকে চারশো টাকার বেশি দিচ্ছে না। খেতে বেগুনের বয়স বেড়ে গেলে দাম আরও কমে যেতে পারে তাই ওই দরেই বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে কৃষক। উৎপাদনের সব জিনিসের দাম বেশি। এই দামে বেগুন বিক্রি করলে কৃষকরা লোকসানের মুখে পড়বে। চাষিদের দাবি মণপ্রতি বেগুনের দাম কমপক্ষে ৮০০ টাকা হলে মোটামোটি লাভ হতো। দাম নিয়ে কৃষকরা হতাশা ব্যক্ত করেছেন। কৃষকদের দাবী সরকারের কথা মত কোন জমি খালি রাখি নাই। টাকা খরচ আর প্ররিশ্রম করে বিশাল এলাকাজুড়ে লাভের আশায় বেগুন করেছি। এখন লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে।
পাইকার সূত্র জানিয়েছে, সারা দেশে বেগুনের দাম কমে গেছে, কিছুই করার নেই। তবে পরিবহন খরচ বেশি হওয়াতে অনেক টাকা ওই খানে ব্যয় হচ্ছে।এর প্রভাবে তৃণমূল পর্যায়ে দাম কম দিয়ে কিনে পরিবহন খরচ সমন্বয় করা হচ্ছে।
শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. শুকল্প দাস জানান, জেলায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে বেগুনের চাষ হয়েছে। শুরু দিকে চাষিরা ভালো দাম পেয়েছে। এখন সারা দেশের বেগুন বাজারে আসছে। সে কারণে বেগুনের দাম কমেছে। মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে কৃষকরা প্রকৃত দাম পাচ্ছে না। এ জন্য কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করে সরাসরি কৃষকদের মাধ্যমেই বেগুন বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করার কথা আমরা ভাবছি। কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারি ভাবেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম