খুলনার পথের বাজারে একটি কারখানায় চাঁদা আনতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন মশিয়ালীর ট্রিপল হত্যা মামলার অন্যতম আসামি জাফরিন শেখ (৩৬)। সোমবার দুপুরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে রবিবার রাত ১১টার দিকে ওই কারখানার শ্রমিক ও এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুইটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। জাফরিন খানজাহান আলী থানাধীন হাসান শেখের ছেলে।
এ ঘটনায় জাফরিন ও তার ভাই জাকারিয়াসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন সাউথ এশিয়ান প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং কারখানার কো-অর্ডিনেটর মীর্জা সোহেল ফরাজী।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন খান বলেন, কয়েকদিন ধরেই কারখানায় গিয়ে ম্যানেজারের কাছে চাঁদা দাবি করা হচ্ছিল। সামনে ঈদকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে জাফরিন কারখানায় গিয়ে আবারও ম্যানেজারের নিকট চাঁদা দাবি করে। এরপর কারখানার শ্রমিক ও এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এসময় তার সহযোগীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, প্রায় শতভাগ রফতানিমুখী কারখানার ম্যানেজারের নিকট চাঁদা দাবি করলে তিনি তাদের এড়িয়ে যেতে থাকেন। রবিবার বিকেলে ম্যানেজারের মোবাইলে একটা ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়। তাতে লেখা ছিল-‘আপনি খেলা শুরু করেছেন আমি শেষ করব ইনশাল্লাহ রেডি থাকেন।’
এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাফরিনসহ কয়েকজন জোর করে কারখানার ভেতরে প্রবেশ করে। তারা ম্যানেজারের অফিস কক্ষের সামনে গালিগালাজ ও চেঁচামেচি করতে থাকে। পরে ম্যানেজারের বাসায় যায় ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথেও দুর্ব্যবহার করে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৬ জুলাই রাতে নগরীর খানজাহান আলী থানার মশিয়ালীতে আধিপত্য বিস্তার ও মসজিদ কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে এলাকাবাসীর ওপর গুলিবর্ষণ করলে তিনজন নিহত হন। এ ঘটনায় ১৮ জুলাই নিহত সাইফুল ইসলামের বাবা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে জাকারিয়া ও জাফরিনসহ ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই