বগুড়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে গরীব, অসহায়দের মাঝে ঈদ সামগ্রী তুলে দিলেন হিরো আলম। আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম কয়েকদিন থেকে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করে গেলেও বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি বগুড়া শহরের কালিতলা, দত্তবাড়ি, কাটনারপাড়া, সাতমাথা, স্টেশন, চেলোপাড়া এলাকাসহ কয়েকটি স্থানে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন। তার ঈদ সামগ্রীর মধ্যে ছিলো বগুড়ার বিখ্যাত লাচ্ছা সেমাই, সাদা সেমাই, চিনি, শাড়ি ও লুঙ্গি।তার নির্বাচনী এলাকা জেলার কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলায় শিশুদের তিনি জামা কাপড় দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ঈদ সামগ্রী বিতরণকালে হিরো আলম হলুদ রঙের পাজাবি, মেরুন রঙের কোটি, মাথায় টুপি পড়া ছিল। ঈদ সামগ্রী নিয়ে বিভিন্ন বাজারের অভাবি মানুষের হাতে তুলে দিয়ে বলেন, পরিবার নিয়ে একবেলা খাবেন। ঈদের আনন্দ করবেন। আর পারলে হিরো আলম এর জন্য দোয়া করবেন। যেন হিরো আলম মানুষের পাশে সবসময় থাকতে পারে। আপনাদের কাছে দোয়া ও ভালোবাসা ছাড়া কিছু চাইতে আসিনি। চেয়েছি শুধু ভালোবাসা ও দোয়া। সেটি করে যাবেন।
হিরো আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, তিনি প্রতি বছরই অসহায়দের মাঝে কিছু না কিছু দিয়েছেন। এবার ঈদে তিনি সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, বগুড়ার কাহালু, নন্দীগ্রাম, বগুড়া সদর ও তার নিজ এলাকা বগুড়া সদরের এরুলিয়ায় অসহায়, গরীব, দুস্থ ও যারা লোকলজ্জায় নিতে পারে না তাদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। যারা আমাকে পছন্দ করে না তাদের সংখ্যা কম। আর যারা আমাকে পছন্দ করে না তারা আমার জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়। আমাকে যারা পছন্দ করে তাদের সংখ্যা বেশি। আর আমি এইসব মানুষের ভালোবাসা নিয়ে গরীবদের পাশে দাঁড়াতে চাই। আমি যেমন দেশকে ভালোবাসি ঠিক তেমনি দেশের মানুষকে ভালোবাসি। রুচির দুর্ভিক্ষ কেটে যাবে দ্রুত। আর রুচিশীলই হয়ে উঠবো মানুষের ভালোবাসা নিয়ে। তাই এই ঈদ উল ফিতরে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছি। চাই সকলে মিলিয়ে ঈদ করতে।
হিলো আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জন্মসূত্রে বগুড়ার বাসিন্দা আমি। কথা বলার সময় আঞ্চলিকতা চলে আসে। এছাড়া আমার উচ্চারণেও সমস্যা আছে। সবাই বলে হিরো আলম এর শিক্ষা নেই। হিরো আলম সবকিছু পরিবর্তন করতে পারে। এটিও পারবে। সে জন্য নিজেকে আমি পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি। আর এর পাশাপাশি আমি বাংলা এবং ইংরেজিও শিখছি। আমার কথা নিয়ে যেহেতু মানুষের এত প্রবলেম, সেটাই আগে ঠিক করব। তখন রুচিশীল হবো।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল