৮ জুন, ২০২৩ ১৬:৫৫

নরসিংদীতে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা

নরসিংদী প্রতিনিধি:

নরসিংদীতে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা

নরসিংদীর রায়পুরায় পারিবারিক কলহের জেরে আফসানা আক্তার আফসার (২৮) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করেছে স্বামী। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের নলবাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতের মা হাসনা হেনা বেবি বাদী হয়ে ঘাতক স্বামীসহ ৯ জনকে আসামি করে বায়পুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত আফসানা আক্তার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের করিমগঞ্জ এলাকার আফসার উদ্দিনের মেয়ে। তার স্বামী হযরত আলী একই ইউনিয়নের নলবাটা এলাকার সিদ্দিক মিয়ার ছেলে। 

মামলার এজাহারে জানা যায়, স্বামী হযরত বিদেশে যাওয়ার সময় শশুর বাড়ি থেকে ৩ লক্ষ টাকা নেয়। বিদেশ থেকে আশার পর আফসানাকে বাপের বাড়ি থেকে আরো ১ লক্ষ টাকা নিয়ে আসার জন্য বলে। এ নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরই জেরে বুধবার রাতে আফসানাকে গলা কেটে হত্যা করে স্বামী। হত্যার পর গা ঢাকা দেয় স্বামী। 

স্বামীর পরিবারের লোকজন স্থানীয়রা জানিয়েছেন,  প্রায় এক যুগ আগে হযরত আলীর সাথে আফসানার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের কোল জুড়ে এ দম্পতির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আফসানা পরকীয়ায় আসক্ত ছিলো। স্বামী হযরত আলী মালয়েশিয়া থেকে দেড় মাস আগে ছুটিতে আসেন। এরপর এসব বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়৷ এক পর্যায়ে হযরত আলী আফসানাকে ঘরের পিছনে নিয়ে জবাই করে হত্যা করে। 
নিহত আফসানার মেয়ে ছোঁয়া জানায়, রাতে তার মাকে হত্যার পর তার বাবার হাতে রক্ত দেখতে পায় তার ছোট ভাই সাইফ। পরে হাতে রক্ত লেগে থাকার কারন জানতে চাইলে তার বাবা বলেন একটি মুরগী জবাই করেছেন তিনি। এরপরই তারা মা'য়ের মরদেহ দেখতে পায়। পরে তারা দৌড়ে গিয়ে নানা বাড়িতে মায়ের মৃত্যুর খবর জানায়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বাণ চৌধুরী বলেন, পারিবারিক কলহের জেরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর