বাংলাদেশে পিয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পর থেকে দিনাজপুরে পিয়াজের ঝাঁজও বেড়ে যায়। বাড়তে বাড়তে পিয়াজের দাম দ্বিগুণ ছাড়িয়ে যায়। আবার অনেকে পিয়াজের আড়ত বন্ধ করে রাখে। এতে বাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। এলজি এই পিয়াজ শনিবার সন্ধ্যায় পাইকারি বিক্রি হয় প্রতি কেজি ১৮০-২০০ টাকায়, দেশী পিয়াজ ২২০-২৩০ টাকায় এবং পাতা পিয়াজ ১০০ টাকায়।
এমন পরিস্থিতিতে পিয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে রবিবার দুপুরে দিনাজপুর শহরের বাহাদুর বাজার ও রেলবাজারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুর। যেখানে ক্রেতাদের অভিযোগ ছিলো বাজারে এলসি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৩০ টাকায়। অভিযানের পর তা নেমে আসে ১৪০ টাকায়। দেশি পিয়াজ ২২০ টাকা থেকে নেমে আসে ১৭০-১৮০ টাকায়। এসময় পিয়াজের ক্রয় রশিদ না দেখাতে পারায় ২টি দোকানে সতর্কতামূলক ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলার সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম রুনি। এসময় জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান, জেলা হেলথ সুপারিনটেনডেন্ট আজাদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে পিয়াজ কিনতে আসা আব্বাস আলীসহ কয়েকজন বলেন, দুদিনের মধ্যে এভাবে পিয়াজের দাম বাড়লে আমাদের মত সাধারণ মানুষের কি অবস্থা হবে। অভিযোগ করে বলেন, অভিযান চললে দাম কমে যায় কিন্তু পরে আবারও সেই দামে বিক্রি করে। রবিবার দুপুরে শহরের হাউজিং মোড়ে এলসি পিয়াজ প্রতি কেজি ২২০ টাকা এবং দেশি পাতা পিয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল