কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেছেন, ডেঙ্গু মশা খুব দ্রুত বিস্তার করে। আমাদের সুযোগ আছে সচেতন হওয়ার, প্রতিরোধ করার। এটাকে প্রতিরোধ করতে হবে। এই প্রতিরোধের জন্য আপামর কিশোরগঞ্জবাসীকে ঐকবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। শুধু নিজেকে করলেই হবেনা, প্রতিবেশিকেও করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে ভবিষ্যতে আমাদের এই জেলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা শুন্যতে নেমে আসবে।
ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ নিয়ন্ত্রণে সোমবার কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় দুই মাসব্যাপী মশক নিধন, পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, কিশোরগঞ্জ ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তিস্থল নয়। যেহেতু ঢাকার খুব কাছাকাছি এই জেলা এবং প্রতিদিনই প্রচুর লোক রাজধানীতে আসা যাওয়া করছেন। তারা ক্যারিয়ার হিসেবে তাদের শরীরে এটা বহন করে নিয়ে আসছেন। এ অবস্থায় মশা যখন এখানে আস্থানা গাড়ছে, তখন স্বভাবতই আমার জেলার নাগরিকরা কম বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা শুধু দুমাস ব্যাপী করলেই হবেনা। কর্মসূচিটা পুরো বছরব্যাপী চলমান রাখার জন্য পৌর প্রশাসককে অনুরোধ করেন তিনি। এখন যেহেতু পিক আওয়ার, সেহেতু ক্রাস প্রোগ্রাম দুমাস থাকবে। কিন্তু সারাবছরই এটাকে চলমান রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গুবাহিত মশাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে পারিবারিক পর্যায় থেকে শুরু করতে হবে। যেমন প্রত্যেকের বাসায় ফুলের টব আছে, ছাদবাগান আছে। বারান্দায় বাগান আছে, বাড়ির আঙ্গিনায় রয়েছে। এসব গাছে একবার পানি দিলে আমরা আর খেয়াল রাখিনা কি অবস্থা হয়। ডেঙ্গুর লার্ভা তিনদিনের মধ্যে মশায় রূপান্তরিত হচ্ছে। এছাড়া বাড়ির আনাচে কানাচে এমনকি সড়কের পাশে পানি জমে থাকে। ডাবের খোসা, ফলের খোসা, গাড়ির পুরাতন টায়ার এগুলোর ভিতরে ডেঙ্গু মশা খুব দ্রুত বিস্তার করে।
জেলায় ডেঙ্গু রোগীর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জেলা প্রশাসক বলেন, জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৬৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। আর আজকের দিনে ২১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। কারো যদি শরীরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা থাকে, তাহলে অবহেলা না করে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গু হলে দ্রুত চিকিৎসা করাটাই বাঞ্ছনিয়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মুকতাদিরুল আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাক সরকার ও সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম।
বিডি প্রতিদিন/এএম