মাত্র দুই বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ করে সফলতার আলো দেখছেন কৃষি প্রেমী এক পল্লী চিকিৎসক। বছর ঘুরতেই ড্রাগন বিক্রি করে দুই লাখ টাকা আয় করেছেন তিনি। ড্রাগন বাগানটি এখন ক্রেতা ও নতুন উদ্যোক্তাদের আগ্রহের কেন্দ্রস্থল পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের ব্রহ্মখোলার গ্রামের বাসিন্দা ইদ্রিস আলী পল্লী চিকিৎসক হলেও তার নেশা উন্নতজাতের ফল চাষ করার। এক সময় ড্রাগন চাষের নেশা পড়ে যান তিনি। দেড় থেকে দুই বছর বিভিন্ন উদ্যোক্তা ও ইন্টারনেট সার্চ করে বাছাই করেন উন্নতজাতের বাউ থ্রি জাতের ড্রাগন। এরপর দুই বিঘা জমি ড্রাগন চাষের জন্য উপযুক্ত করেন। দুই বিঘা জমিতে খুটি, জাল ও লেবারসহ ড্রাগন চাষ করতে খরচ পড়ে ৬ লক্ষ টাকা। মাত্র এক বছরেই ড্রাগন বিক্রি করে ২লাখ টাকা আয় করেছেন।
কৃষি উদ্যোক্তা ইদ্রিস আলী জানান, সঠিক জাত বাছাই করলে ড্রাগন চাষে সফলতা আসবেই। ড্রাগন চাষে পরিশ্রম ও পরিচর্যাও কম। বছরে অন্তত ৮মাস ফল পাওয়া যায়। সঠিক সময়ে ছত্রাকরোধে ব্যবস্থা গ্রহন করলে এক চারাতে বেশ কয়েক বছর ফলন পাওয়া সম্ভব। তিনি জানান, অনেক পাইকাররা জমি থেকেই ড্রাগন ফল কিনে নিয়ে যায়।
স্থানীয় কৃষক আজগর আলী, আকমল হোসেন ও সবুজ আলী জানান, ড্রাগন পুষ্টিকর ফল। ধানসহ অন্যান্য ফসল আবাদের তুলনায় ড্রাগন চাষে কম খরচ এবং পরিশ্রমও কম। একবার চারা রোপন করলে ৮-১০ বছর ফল পাওয়া যায়। তাই ইদ্রিসের বাগান পরিদর্শন এবং চাষাবাদের কলাকৌশল জানতে অনেক কৃষকই আসছেন। ড্রাগন চাষের সফলতা দেখে অনেক কৃষক ড্রাগন চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠছে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত জানান, ড্রাগন একটি উচ্চমানের পুষ্টিকর ফসল। যে সকল কৃষক ড্রাগন চাষ করতে আগ্রহী তাদেরকে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে জমি নির্বাচন থেকে শুরু করে পরামর্শ ও প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়ে থাকে। চলতি বছর সিরাজগঞ্জে ১৭ হেক্টর জমিতে ৮৬ মেট্টিক টন ড্রাগনফল উৎপাদন হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম