নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ইয়াছিন আরাফাত শাকিল (২৬) নামে যুবদলের এক কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি।
বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবীবুর রহমান জানান, নিহত শাকিলের বাবা মো. সোলাইমান খোকন বাদী হয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বেগমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এজাহারে নাম উল্লেখ করা হয়েছে তিনজনের এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া তিনজন হলেন—উপজেলার ধীতপুর গ্রামের মোরশেদ আলম (২৫), জীবন (২৪) ও মনির হোসেন (২২)। তাদের মধ্যে দুইজনকে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গুরুতর আহত অপরজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে গঙ্গাবর বাজার সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত ডোবার পাশের ঝোঁপ থেকে একটি সেমি-অটোমেটিক পিস্তল এবং একটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। এর আগে সোমবার রাতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের সমন্বিত অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে এক রাউন্ড তাজা গুলি ও একটি ব্যবহৃত গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের গঙ্গাবর বাজার এলাকায় ৮-৯ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী লাবিব নামে এক তরুণকে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় ইয়াছিন আরাফাত শাকিলসহ কয়েকজন সন্ত্রাসীদের বাধা দেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা শাকিলকে গুলি করে হত্যা করে এবং শাকিলের ছোট ভাই মোজাম্মেল হোসেন শুভকে মাথায় আঘাত করে গুরুতর আহত করে। ঘটনার পর স্থানীয় জনতা তিন সন্ত্রাসীকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম