পটুয়াখালীতে শতবর্ষী দাদি কুলসুম বিবি (১০৫) ও সৎ মা সহিদা বেগমকে (৫০) দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে মো. আল আমিন (২৫) নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক। শুক্রবার দুপুর একটার দিকে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরই পলাতক রয়েছে যুবক আল আমীন। আবদুর রাজ্জাক খানের ছেলে ঘাতক আল আমীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকদিন আগে আল আমিন তার নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। পরে তাকে ৩ থেকে ৪ দিন আগে খুজে পাওয়ার পর বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বজনরা। পরে পারিবারিক ভাবে আল আমীনকে মানুষিক চিকিৎসার জন্য পাবনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। শুক্রবার রাতে পাবনা পাঠানোর জন্য বাসের টিকেটও কাটা হয়। এদিকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর জন্য দুপুরে তার বড় ভাই পরিচয় পত্র আনার জন্য সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যের কাছে যায়। আর তার পিতা রাজ্জাক খান কাজের উদ্দেশ্যে বাহিরে যায়। এ সুযোগে আল আমিন তার সৎ মা ও দাদিকে ঘরে একা পেয়ে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে।
পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, দাদী ও সৎ মাকে হত্যার পর আল আমীন পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার জাহিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুলিশ, সিআইডি জোড়া খুন নিয়ে কাজ করছেন। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি রাজ্জাক খানের ছেলে আল আমীন তার দাদী ও সৎ মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
পরিবারের বরাত দিয়ে এসপি আরও জানান, আল আমীন মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল বলে জানতে পেরেছি। ঘটনাটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম