পাহাড়ে মাদকের বিরুদ্ধে বিজিবি কঠোর অবস্থানে আছে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির রাঙামাটির কাপ্তাই ৪১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল কাওসার মেহেদী। তিনি বলেন, মাদক পাচারের প্রতিরোধের বিরুদ্ধে বিজিবি সর্বদা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে আসছে। বিজিবি রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় টহল তৎপরতা, গোয়েন্দা নজরদারি সহ স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের নিয়ে মাদকবিরোধী প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে। শুধু তাই নয়, মাদক সম্পর্কে সচেতন করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস ও স্থানীয় হাট-বাজারে ব্যানার, ফেস্টুন, লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। মাদকমুক্ত দেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এর রাঙামাটির কাপ্তাই ৪১ ব্যাটালিয়নের সম্মেলন কক্ষে মাদকদ্রব্য অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালার সভাপতি অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. কাওসার মেহেদী এসব কথা বলেন। এ সময় রাঙামাটি কাপ্তাই ৪১ ব্যাটালিয়ন বিজিবির মেজর এসএম আশিকুজ্জামান, মেজর মো. লতিফুল বারী, ডিজিএফআই কাপ্তাই সহকারী পরিচালক মো. মামুনুর রশিদ, কাপ্তাই আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক মো. নাজমুল হক নূর নবী, কাপ্তাই আনসার ব্যাটালিয়নের উপ-পরিচালক ও অধিনায়ক নুরুল আফছার চৌধুরী, কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. অলি উল্লাহ, ৪নং কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আবদুল লতিফ, ৫নং ওয়াগ্গা ইউপি চেয়ারম্যান চিরন জীত তংচঙ্গ্যা, চিৎমরম মৌজার হেডম্যান ক্যওসিং মং মারমা, চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন, ২নং রাইখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম ও কাপ্তাই সহকারী তথ্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির রাঙামাটির কাপ্তাই ৪১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল কাওসার মেহেদী আরও বলেন, শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদক সচেতনা বৃদ্ধি করলে হবে না, স্থানীয় গ্রাম, পাড়া ও মহল্লা পর্যায়ে কমিটি গঠন করে তা মাদক প্রতিরোধ করতে হবে। যুব সমাজকে বাঁচাতে হলে খেলাধুলার বিকল্প নেই। বেকার যুবকদের সৃজনশীল কাজে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পার্বত্যাঞ্চলকে মাদকের আগ্রাসন থেকে রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছে বিজিবি। যেখানে মাদক থাকবে, সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল