হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরুর ৪৫ মিনিট পর কেন্দ্রে পৌঁছায় পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়নি এক পরীক্ষার্থীকে। হল সুপার জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষার্থী ঝর্ণা আক্তার বলেন, আমি অসুস্থ থাকায় সিলেটে নানার বাড়িতে ছিলাম। ভেবেছিলাম সকাল সকাল গিয়ে আমি পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজির হবো। কিন্তু পথে বাসে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেরি হয়ে যায়। ফলে আমি কেন্দ্রের ভেতর যেতে পারলেও শিক্ষকরা আমাকে হল থেকে বের করে দেয়। ঝর্ণা বলেন, বার বার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ চাইলেও তারা তা দেননি।
শিক্ষার্থী ঝর্ণার ভাই ইমন মিয়া বলেন, অসুস্থতার কারণে ঝর্ণা সিলেটে নানাবাড়িতে অবস্থান করছিল। বৃহস্পতিবার সকালে বাসে মিরপুরের উদ্দেশে রওনা দিলে পথে বাসে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেরি হয়। পৌণে ১১টায় কেন্দ্রে পৌঁছালে তাকে হল থেকে বের করে দেন শিক্ষকরা।
মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র প্রধান মো. আমির উদ্দীন বলেন– ওই শিক্ষার্থীর দেরিতে আসার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়। নিয়ম অনুযায়ী ঝর্ণাকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়ার সুযোগ ছিল না।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, ওই শিক্ষার্থী ১ ঘণ্টা দেরি করে কেন্দ্রে যায়। আইন অনুযায়ী সে পরীক্ষা দিতে পারে না। তাই বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যদিও অনেকেই বলছেন, মেয়েটির ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল।
এদিকে, জেলায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনে মোট ১৭২ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শিক্ষা কল্যাণ ও প্রবাসী শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বুলবুল আক্তার সেতু। তিনি জানান, এইচএসসি পরীক্ষায় ১৪৩, কারিগরি পরীক্ষায় ৩ ও আলিম পরীক্ষায় ২৬ জন অনুপস্থিত ছিল।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল