র্যাব পরিচয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প হতে চাঞ্চল্যকর অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবীরর অন্যতম হোতা মো. জায়েদ হোসেন ফারুককে (২২) র্যাবের ইউনিফর্ম, ফেইক আইডি কার্ড, দেশী ও বিদেশী অস্ত্র, গুলি ও হ্যান্ডকাপসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব। ২৯ জুন রাতে উখিয়ার মরিচ্যা থেকে মো. জায়েদ হোসেন ফারুককে (২২) আটক করা হয়। সে উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের আঃ শুক্কুরের ছেলে।
ফারুকের কাছ থেকে অপহরণে ব্যবহৃত ৪টি র্যাবের ইউনিফর্ম, ১টি র্যাবের ফেইক আইডি কার্ড, ১টি হ্যান্ডকাপ, ১টি বিদেশী পিস্তল, ২ টি দেশী আগ্নেয়াস্ত্র, ১০ রাউন্ড তাজা এ্যমুনেশন, ১১ রাউন্ড এমটি কার্টিজ ও ১টি চাকু উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১৫ এর সহকারি পরিচালক আ. ম ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার দুপুরে জানিয়েছেন, ১১ জুন রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ থেকে হাফিজ উল্লাহকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন ও এনায়েত উল্লাহর যোগসাজশে র্যাব পরিচয়ে ৩ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বরখাস্তকৃত সৈনিক সুমন, সন্ত্রাসী ফারুক, সন্ত্রাসী শিকদার নিজ বসতঘর হতে ডেকে গহীন পাহাড়ে নিয়ে যায় এবং পনের লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে।
১৩ জুন রঙ্গিখালীতে অপহরণের অন্যতম প্রধান হোতা কুখ্যাত ডাকাত শাহআলমের বাড়িতে হানা দিয়ে আফ্রিদি ও আব্দুল গফুর নামে দুজনকে আটক করে। পরদিন ১৪ জুন উখিযা মরিচ্যাাজার থেকে ম‚ল অপহরণকারী বরখাস্তকৃত সৈনিক মোঃ সুমন মুন্সিকে আটক করে।
সুমনকে নিয়ে ১৫ জুন (রবিবার) র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, এপিবিএন ও বনবিভাগের আড়াই শতাধিক জনবল নিয়ে গহীন অরণ্যে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে অপহরণের ৭২ ঘন্টা পরে ভিকটিম হাফিজ উল্লাহকে উদ্ধার করতে করে র্যাব। আটককৃত সন্ত্রাসীদের তথ্য মতে ২৭ জুন অপহরণের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত কুখ্যাত ডাকাত শিকদারকে গ্রেফতার করা হয়।
শিকদারের দেয়া তথ্য মতে ফারুককে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক জানায়, বরখাস্তকৃত সৈনিক সুমন র্যাবে চাকুরীর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কয়েক বছর আগে মিরপুরের শাহ আলী মার্কেট থেকে র্যাবের ইউনিফর্মগুলো তৈরী করেছে।
ফারুক সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম