নোয়াখালীতে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি অসংখ্য মৎস্য খামারে ভেসে গেছে মাছ। জেলার বেগমগঞ্জ অনন্তপুরে ৯০ একর বিশিষ্ট খামারে বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পানিতে ভেসে গেছে খামারটি।
খামারটির মালিক ভিপি পলাশ জানান, গত তিন দিনের বৃষ্টিতে খামারের অসংখ্য মাছ পানিতে ভেসে গেছে।
এছাড়া সদর, সুবর্ণচর ও কোম্পানিগঞ্জেও অনেক মৎস্য খামার পানিতে ভেসে গেছে। বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে মনে করছেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা।
টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালীর সদর, কোম্পানীগঞ্জ, বেগমগঞ্জ, কবিরহাট ও সুবর্ণচরে বেশি জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। মুষলধারে অব্যাহত বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। অনেকের বসতঘরে পানি ঢুকেছে। এই চারটি উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর, রামপুর ও চর এলাহী ইউনিয়নের ছোট ফেনী নদী ও বামনী নদীর তীরবর্তী এলাকা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। মুছাপুর ইউনিয়নের বেশিরভাগ সড়ক ডুবে গেছে। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে অনেক বাড়িঘর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে লোকজন সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে।
অপরদিকে, জেলা শহর মাইজদীর বিভিন্ন সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। চলতি বর্ষায় শহরের বেশিরভাগ সড়কে খানাখন্দ তৈরি হওয়ায় সড়কগুলো মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, জলাবদ্ধতা ও বন্যা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দখলমুক্ত করা হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল