রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত আব্দুল্লাহ ছামীমের (১৩) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় শরীয়তপুরের সখিপুর থানার ডিএমখালী ইউনিয়নের চরভয়রা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
নিহত আব্দুল্লাহ ছামীম ভেদরগঞ্জ উপজেলার ডিএমখালী ইউনিয়নের মৃত আবুল কালাম মাঝির ছোট ছেলে। সে উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে উত্তরার দিয়াবাড়িতে বিমানটি মাইলস্টোন কলেজ চত্বরে বিধ্বস্ত হলে ছামীম গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হলে রাত সাড়ে ১০টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ছামীম বড় হয়ে একজন ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখত। পাঁচ সদস্যের পরিবারের মধ্যে সে ছিল দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। বাবা আবুল কালাম মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবে ফল ব্যবসায়ী ছিলেন। সাত মাস আগে তিনিও মারা যান।
এই ঘটনায় পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্কুল, পরিবার ও এলাকাজুড়ে শোকের মাতম চলছে। স্থানীয়রা জানান, এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এক উদীয়মান শিশুর মৃত্যু সমাজের জন্যও অপূরণীয় ক্ষতি।
বিমান বিধ্বস্তের কারণ তদন্তে ইতোমধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল