চট্টগ্রাম নগরীর চান্দঁগাও থানা এলাকা থেকে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে শারীরিক, মানসিক অত্যাচারের মামলায় স্বামী রিয়াদ হাসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রিয়াদ হাসান (২৫) সুনামগঞ্জ সদর থানার রহমতপুর বিরামপুর এলাকার আবু বকর মিয়ার ছেলে। তিনি চান্দগাঁও থানার খাজা রোড বলির হাট পাক্কা দোকান এলাকায় বসবাস করেন। শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
চান্দগাঁও থানার ওসি জাহেদুল কবির বলেন, স্ত্রীর দায়েরকৃত যৌতুকের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মূলে স্বামী রিয়াদ হাসানকে শুক্রবার চান্দগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, তরুণীর সঙ্গে আসামি রিয়াদ হাসানের বিয়ে হয় ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক। দেনমোহর ধার্য করা হয় ২০ লাখ টাকা, যার মধ্যে ৩ লাখ টাকা নগদে প্রদান এবং ১৭ লাখ টাকা বকেয়া রাখা হয়। দুই বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের কোনো সন্তান হয়নি। আসামি নিয়মিত যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। অনলাইনভিত্তিক ‘বাংলাদেশ অনলাইন মাদ্রাসা’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সুবাদে তিনি বিভিন্ন নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে আসামির মোবাইল ফোনে একাধিক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর চ্যাট, ছবি ও ভিডিও দেখে প্রতিবাদ করায় আসামি তাকে মারধর করেন এবং বলেন, ‘বাবার বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে এলে ভালোভাবে রাখব’। পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত থাকার বিষয়েও স্ত্রী প্রশ্ন তুললে গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে যৌতুক না পেয়ে আসামি রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে এক কাপড়ে বাসা থেকে বের করে দেন। পরে তিনি নিরুপায় হয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন। তরুণীর পরিবার একাধিকবার আপোষের চেষ্টা করলেও আসামি দাবি করেন, ‘যৌতুক ছাড়া স্ত্রীকে ঘরে তুলবেন না’।
বিডি প্রতিদিন/এএম