টি-টোয়েন্টি সিরিজে দাপুটে হোয়াইটওয়াশের পর ওয়ানডে সিরিজে ঠিক উল্টো চিত্র। এক ম্যাচ হাতে রেখেই আফগানিস্তানের কাছে ৮১ রানের বড় ব্যবধানে হেরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। শনিবার আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখ থুবড়ে পড়েছে টাইগারদের ব্যাটিং।
১৯০ রানের তুলনামূলক সহজ লক্ষ্যও পেরোতে পারেনি বাংলাদেশ। মাত্র ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় পুরো দল। আফগানদের হয়ে রশিদ খান ৫ উইকেট নিয়ে ঢেকে দেন বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। তার সঙ্গে আজমতউল্লাহ ওমরজাই নেন ৩টি ও নাঙ্গেলিয়া খারোতে ১টি উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় নামা বাংলাদেশের শুরুটা হয় ভয়াবহ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ফেরেন মাত্র ১ রান করে। দ্রুত ফেরেন শান্তও, রান আউটে কাটা পড়েন ৭ রানে। এরপর সাইফ হাসান কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও (২৩ বলে ২২) ওমরজাইয়ের শিকার হন তিনিও।
মাঝের সারিতে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ (৭ বলে ৪), জাকের আলী (৪৩ বলে ১৮) এবং সোহান (২০ বলে ১৫) কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি। এক পর্যায়ে ৯৮ থেকে ১০০ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
শেষদিকে রিশাদ, তানভীর ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব একে একে ফিরলে ৩৩.৪ ওভারে ১০৯ রানে থেমে যায় টাইগারদের ইনিংস।
আফগানদের হয়ে মূল তাণ্ডব চালান রশিদ খান। নিজের স্পিন জাদুতে ফিরিয়ে দেন ৫ ব্যাটারকে। তার দারুণ বোলিংয়ের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তানের শুরুটাও ছিল নড়বড়ে। ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা, গুরবাজ ফেরেন ১১ বলে ১১ রান করে। এরপর একে একে সেদিকুল্লাহ, শহীদি, ওমরজাই, নবি ফিরলেও এক প্রান্ত আগলে রাখেন ইব্রাহিম জাদরান।
১৪০ বল মোকাবেলা করে ৯৫ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন তিনি, ইনিংসে ছিল মাত্র ৩টি চার ও ১টি ছক্কা। তার সঙ্গে গাজানফার যোগ করেন কার্যকর ২২ রান। ইনজুরির পর ফের মাঠে নামলেও রহমত শাহ ব্যাটিং চালিয়ে যেতে পারেননি।
ফলে ৪৪.৫ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রানে থামে আফগানিস্তানের ইনিংস।
মেহেদী হাসান মিরাজ ছিলেন সফলতম, ৩ উইকেট নেন তিনি। তানজিম সাকিব ও রিশাদ হোসেন নেন ২টি করে উইকেট, একটি পান তানভীর ইসলাম।
বিডি প্রতিদিন/মুসা