বগুড়ার আদমদীঘিতে ক্লাস শুরুর আগেই পাঁচ শিক্ষার্থীকে নিয়ে পুকুরের পানিতে ধসে পড়ল ক্লাসরুমের মেঝে। বুধবার (১০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির বাগবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর কক্ষে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর ওই কক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস।
এদিকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অসতর্কতা আর অবহেলায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
জানা গেছে, চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন শ্যামনাথ। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিদ্যালয় পরিচালনায় তার উদাসীনতা চোখে পড়ার মতো। শিক্ষক ও স্থানীয়দের সঙ্গে কোনো ধরনের পরামর্শ না করেই একক সিদ্ধান্তে চলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বরাদ্দ পাওয়া অর্থ কোন খাতে ব্যয় করা হচ্ছে, সে সম্পর্কেও কাউকে অবহিত করেন না তিনি। তার উদাসীনতার কারণে পড়াশোনার পাশাপাশি অবকাঠামোর অবস্থাও বেহাল। আর এ কারণেই সকালে ক্লাস শুরুর আগেই শিশু শ্রেণীর শিক্ষার্থী হুমায়রা, জীসান ও অলসসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে নিয়ে পুকুরের পানিতে ধসে পড়ে ক্লাসরুমের মেঝে। এই দুর্ঘটনায় শিশু শিক্ষার্থীদের প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। স্থানীয়দের দাবি, বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সচেতন হলে এমন ঘটনা ঘটতো না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামনাথ বলেন, অনেক দিন আগে পুকুরের ওপর এই বিদ্যালয়ের কক্ষ নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি উত্তর দিকে গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হলেও তিনি যোগদানের পর থেকে কোনো বরাদ্দ না পাওয়ায় মেঝে সংস্কারের কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে দু’দফায় স্কুলের বরাদ্দ পেয়েছিলেন ৪০ হাজার ৫০০ টাকার। সেটি নিয়ে কারো সাথে আলোচনা না করেই ব্যয় করার জন্য স্থানীয়দের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন জানান, খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে ছুঁটে এসে ওই ক্লাসরুম বন্ধের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ