ডেঙ্গুর ছোবলে প্রাণ গেছে মায়ের। একই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় বেঁচে থাকার সংগ্রাম করছে তারই ছোট্ট মেয়ে।
হাসপাতালে স্ত্রীর মৃত্যুর পর তাকে দাফন করে আবারও হাসপাতালেই ফিরতে হয়েছে শফিকুলকে। কেন না, হাসপাতালে মায়ের বিছানাতেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে মেয়ে। ডেঙ্গুর ভয়াবহতা এতটাই ছাড়িয়েছে যে, এক পরিবারের অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন এ রোগে। সবচেয়ে ঝুঁকিতে নারী ও শিশুরা।
ছোট সুমাইয়ার অবুঝ মনটাও হয়তো জেনে গেছে মা আর নেই, আর তাই যন্ত্রণার চিৎকারজুড়ে এখন শুধু প্রভুর নাম।
বাবার নির্বাক আতঙ্কেও যেন নোনতা জলের দুঃখ। দুদিন আগেও যার নিশ্বাসে ছিল বেঁচে থাকার ভরসা আজ তা ধরা ছোয়ার ওপারে।
মা হারানো মেয়েকে কি-ই বা সান্ত্বনা দেবেন বাবা, সেই চিন্তায় দিশেহারা শফিকুল।
গত ২৮ জুলাই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি হন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের মরিয়ম ও তার শিশু কন্যা সুমাইয়া। চারদিনের চিকিৎসার পর বৃহষ্পতিবার মারা যান মরিয়ম।
এবারের ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে নারী ও শিশুরা। হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের দোতলার এমন কোনও ওয়ার্ড খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না যেখানে ডেঙ্গু আক্রান্ত নারী ও শিশু নেই।
ডেঙ্গুর ভয়াবহতায় সতর্কও ছিলেন কিন্তু কিছুতেই কাজ হয়নি। তাই মশা নিয়ন্ত্রণে দুই সিটির কার্যক্রম নিয়ে ক্ষোভও জানান অনেকে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম