শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি

শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করুন

দেশের প্রধান খাদ্যদ্রব্য চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখাকে সরকার চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। ভর্তুকি দিয়ে দেশের স্বল্প আয়ের ১ কোটি ৩০ লাখ পরিবারের জন্য চাল সরবরাহের কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। সরকারের নীতিনির্ধারকদের বিশ্বাস, দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষের জন্য কম দামে চাল বিতরণের কর্মসূচি দুটি লক্ষ্য পূরণ করবে। এর একটি হলো করোনা এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পরিণতিতে বিশ্বজুড়ে যে মন্দা দশা সৃষ্টি হয়েছে, এ দুঃসময়ে বাংলাদেশের গরিব মানুষের জন্য সাশ্রয়ী দামে খাদ্যের ব্যবস্থা করা। দ্বিতীয়ত, বাজারে চালের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা রোধ করা। সরকারের জন্য উদ্বেগের বিষয় হলো, দেশে আমনের ভরা মৌসুমেও বাড়ছে চালের দাম। রাজধানীর খুচরা বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে মানভেদে প্রতি কেজি চালে ২ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। অথচ দেশের ধান-চালের বড় বড় মোকাম ও হাটবাজারে এখন নতুন আমন ধানের প্রচুর সরবরাহ। এমন পরিস্থিতিতে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্য নিরাপত্তা-সংক্রান্ত চলমান কর্মসূচির বাইরে নতুন বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করতে যাচ্ছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এই কর্মসূচির আওতায় সরকারি সহায়তা বঞ্চিত দেশের আরও ৩০ লাখ পরিবারকে চাল দেওয়া হবে। পাশাপাশি আমনের ভরা মৌসুমেও অর্থাৎ ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি ওএমএস কর্মসূচি চলবে। সাধারণত এই তিন মাস ওএমএস কর্মসূচি বন্ধ রাখা হয়। করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে দেশে প্রথমবারের মতো এই তিন মাস ওএমএস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দেশের গরিব অসহায় মানুষের খাদ্য সহায়তার কর্মসূচিতে সরকারের শত শত কোটি টাকা ব্যয় হবে। এ জন্য যে খাদ্য সংগ্রহ করা হয়েছে তার এক বড় অংশ বিদেশ থেকে আমদানি করা। আন্তর্জাতিক বাজারে চাল ও গমের দাম সাধারণ সময়ের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি হওয়ায় বাড়তি অর্থ ব্যয় হচ্ছে। আমরা আশা করব- জনগণের খাদ্য নিরাপত্তায় সরকার যেসব কর্মসূচি নিচ্ছে তা শতভাগ স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করা হবে।  কোনো ক্ষেত্রে যাতে দুর্নীতি বাসা বাঁধতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্কতার বিকল্প নেই।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর