এ দেশে একক মঞ্চনাটকে অভিনয় ইতিহাসের নজির দীর্ঘদিনের। মঞ্চে একে একে অনেক দর্শকনন্দিত একক অভিনয়ের নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। বেশির ভাগ একক অভিনয়ে দেখা গেছে নারীকে; কিছু একক নাটকে অভিনয় করেছেন পুরুষ। ঢাকার মঞ্চে প্রদর্শিত একক কিছু নাটক নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছেন- পান্থ আফজাল
ফেরদৌসী মজুমদারের ‘কোকিলারা’
আবদুল্লাহ আল মামুনের রচনা ও নির্দেশনায় ফেরদৌসী মজুমদার অভিনীত ‘কোকিলারা’। নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হয় ১৯৮৯ সালে।
সোয়া দুই ঘণ্টা ব্যাপ্তির এ নাটকের নবরূপায়ণ দেন সুদীপ চক্রবর্তী।
‘গোলাপজান’ রোকেয়া রফিক বেবী
থিয়েটার আর্ট ইউনিটের সাড়া জাগানো নাটক ‘গোলাপজান’। রূপান্তর ও নির্দেশনা দেন প্রয়াত নাট্য নির্দেশক এস এম সোলায়মান। গোলাপজানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রোকেয়া রফিক বেবী।
শিমুল ইউসুফের ‘বিনোদিনী’
৩২টি চরিত্রে একক অভিনয় করে দর্শককে মোহাবিষ্ট করেন মঞ্চকুসুম শিমুল ইউসুফ। এর নাট্যরূপ দিয়েছেন সাইমন জাকারিয়া। নির্দেশনায় নাসিরউদ্দিন ইউসুফ।
লাকী ইনামের ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’
ড. নীলিমা ইব্রাহিম রচিত ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’র ৭টি গল্প থেকে নাগরিক নাট্যাঙ্গন মঞ্চে আনে ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’। নির্দেশনায় ও অভিনয়ে লাকী ইনাম।
মোমেনা চৌধুরীর ‘লাল জমিন’
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে মান্নান হীরা রচিত ও মোমেনা চৌধুরী অভিনীত শূন্যন নাট্যদলের নাটক ‘লাল জমিন’। নির্দেশনায় সুদীপ চক্রবর্তী।
‘পঞ্চনারী আখ্যান’ রোজী সিদ্দিকী
পাঁচ নারীর গল্প নিয়ে ঢাকা থিয়েটারের নাটক ‘পঞ্চনারী আখ্যান’। হারুনুর রশীদের রচনায় ও শহীদুজ্জামান সেলিমের নির্দেশনায় এটি দর্শকনন্দিত হয়। পাঁচ নারীর চরিত্রে অভিনয়ে রোজী সিদ্দিকী।
সামিউন জাহান দোলার ‘নভেরা’
ভাস্কর নভেরাকে নিয়ে মঞ্চ আখ্যান ‘নভেরা’। নভেরা হিসেবে অভিনয় করেন ঢাকা থিয়েটারের সামিউন জাহান দোলা। এটি মঞ্চে এনেছে ‘ধ্রুপদী অ্যাক্টিং অ্যান্ড ডিজাইন’।
জ্যোতির ‘কহে বীরাঙ্গনা’ ও ‘হ্যাপি ডেইজ’
মঞ্চনাটক ‘কহে বীরাঙ্গনা’। মণিপুরী থিয়েটারের জ্যোতি সিনহা নারী চরিত্রগুলো করেছেন। এদিকে ফ্রান্স অ্যাম্বাসির প্রযোজনা এবং মণিপুরী থিয়েটার ও হৃৎমঞ্চের সহযোগিতায় মঞ্চে আসে ‘হ্যাপি ডেইজ’। স্যামুয়েল বেকেটের লেখা এবং নির্দেশনায় শুভাশিস সিনহা।
জুয়েনার ‘হেলেন কেলার’
স্বপ্নদল প্রযোজিত একক নাটক ‘হেলেন কেলার’। অপূর্ব কুমার কুন্ডু রচিত এটি নির্দেশনা দিয়েছেন জাহীদ রিপন। অভিনয় করেছেন জুয়েনা শবনম।
নাজনীন চুমকীর ‘সীতার অগ্নিপরীক্ষা’
সাধনার প্রযোজনায় সীতার অগ্নিপরীক্ষা। কখনো তিনি সীতা, কখনো রাম বা অন্য চরিত্রে রয়েছেন নাজনীন হাসান চুমকী।
মুনিরা ইউসুফের ‘ফুলরানী আমি টিয়া’
একক মঞ্চনাটক ‘ফুলরানী আমি টিয়া’। এতে অভিনয় করেছেন মুনিরা ইউসুফ মেমী।
‘গহনযাত্রা’য় শামছি আরা সায়েকা
পদাতিক নাট্য সংসদের ‘গহনযাত্রা’। এটিতে সালমার চরিত্রে ছিলেন শামছি আরা সায়েকা।
তনিমা হামিদের ‘একা এক নারী’
নাট্যচক্র মঞ্চে এনেছে ‘একা এক নারী’। দেবপ্রসাদ দেবনাথের নির্দেশনায় নাটকটিতে একক অভিনয় করেছেন তনিমা হামিদ।
সাদ্দামের ‘হিমুর কল্পিত ডায়রী’
বাতিঘরের নাটক ‘হিমুর কল্পিত ডায়রী’। সঞ্জয় সরকার মুক্তনীলের রচনা ও নির্দেশনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন সাদ্দাম রহমান। প্রয়াত নওশাদ হিমু স্মরণে এটি মঞ্চস্থ হয়।
মুক্তার ‘পুতুলটিকে দেখে রেখ’
মেঠোপথ থিয়েটার মঞ্চে এনেছে ‘পুতুলটিকে দেখে রেখ’ নাটকটি। আনিসুর রহমানের রচনায় ও আইরিন পারভীন লোপার নির্দেশনায় একক নাটকে অভিনয় করেছেন শামীমা আক্তার মুক্তা।
অন্যান্য
লাবণী আকতারের ‘বেহুলা আমি এবং সতিত্ব’ এবং ফেরদৌসী আবেদীনের ‘স্ত্রীর পত্র’।