মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ভাইরাল যত দেশ-বিদেশের গান

ভাইরাল যত দেশ-বিদেশের গান

কোনো গান জনপ্রিয়তা কিংবা ভাইরাল হতে হলে যে ভাষার প্রয়োজন হয় না, তার প্রমাণ এরই মধ্যে আমরা পেয়েছি নেটদুনিয়ায়। গত কয়েক বছর এমন অনেক গানই ভাইরাল হয়েছে যে গানের কথা, ভাষা কিছুই বোঝা যায় না। কয়েক বছরের ভাইরাল হওয়া গানগুলো নিয়ে লিখেছেন - আলী আফতাব

 

হোয়াই দিজ কোলাবেরি ডি

গানটি ইংরেজি এবং তামিল শব্দ মিশিয়ে গাওয়া। অনিরুদ্ধ রবিচন্দরের সংগীত ও কথায় কণ্ঠ দিয়েছেন ধানুশ। ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে গানটি মুক্তি দেওয়া হয়। গানটিতে প্রেমিকার থেকে প্রত্যাখ্যাত এক যুবকের আর্তি ফুটে উঠেছে।

 

গেন্দা ফুল

গায়ক বাদশার নতুন রূপে তৈরি করা গেন্দা ফুল গান ইউটিউবে রিলিজ করার পর থেকেই যেন এক নতুন ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। সাদা লাল শাড়ি, লাল টিপ, এলোমেলো চুলে এক্কেবারে বাঙালি সাজে সেজে উঠেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন। আর সেই লাল গেন্দা ফুল গানের সঙ্গে নাচ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এতটাই জনপ্রিয় হয়েছেন যে সবাই লাল শাড়ি পরে সেই নাচের ভিডিও বানানোর চেষ্টা করছেন। বর্তমান ভিউ ৮৭ কোটি ৩২ লাখ। লকডাউনের মধ্যে এই গান সোশ্যাল মিডিয়ায় এক নতুন ঝড় তুলেছে। গেন্দা ফুল গানের সঙ্গে নাচেরও এক নতুন চ্যালেঞ্জ শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। 

 

গ্যাংনাম স্টাইল

গ্যাংনাম স্টাইল ইউটিউবে আপলোড করার পর থেকেই রাতারাতি দর্শক-শ্রোতার পছন্দের তালিকায় চলে আসে। ২০১২ সালের এই মিউজিক ভিডিওর বদৌলতে সারা বিশ্বে রাতারাতি তারকাখ্যাতি পান দক্ষিণ কোরীয় শিল্পী সাই। কোরিয়ান ভাষার একটা গান কীভাবে বিশ্ব জয় করল, সে প্রসঙ্গে বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে সাই বলেছেন, গ্যাংনাম স্টাইল আসলেই অদ্ভুত।

 

হ্যালো হানি বানি

২০১৩ সালে বিজ্ঞাপনের গান হিসেবে এটি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞাপনের জন্য এটি প্রথম তৈরি করে নেপাল। সে সময় নেপালে কিছু তরুণ শিল্পী গানটি করেন। পরে তারা একটি মিউজিক ভিডিও করে ইউটিউবে ছাড়েন। সেই থেকেই গানটি শিশুদের খুব প্রিয়।

 

হোয়াই ইউ অলওয়েজ লাইং

গানটি নিকোলাস ফ্রেজারের ছাত্রজীবনের একটি ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত। গানটি যুক্তরাজ্য থেকে ২০১৫ সালে রিলিজ পায়। নিকোলাসের কাঁপা গলার জন্য গানটি রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়। গানটি যুক্তরাজ্যের সর্বাধিক শ্রুত ১০ শীর্ষ গানের মধ্যে ছিল।

 

 

ডেসপাসিটো সিঙ্গল

লুইস ফন্সি ফিচারিং ডেডি ইয়াঙ্কির ডেসপাসিটো চার বছর আগে সারা বিশ্বকে মাতিয়ে দিয়েছিল। ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি আপলোড করা গানটির ভিডিও তখন ইউটিউব ভিউয়ে শীর্ষে ওঠে।

 

দিস ইজ আমেরিকা

আমেরিকান র‌্যাপার চাইল্ডিশ গামবিনোর গাওয়া এই গানের মিউজিক ভিডিও অনেকটাই কমিক। প্রথম র‌্যাপ ট্র্যাক হিসেবে ২০১৯ সালের গ্র্যামি পুরস্কারে বর্ষসেরা গান নির্বাচিত হয়ে এটি ইতিহাস গড়ে।

 

অপরাধী

 প্রথমবারের মতো গ্লোবাল র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০০ গানের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিল বাংলাদেশের অপরাধী। গানটি গেয়েছেন আরমান আলিফ। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় ভাইরাল হতে থাকে। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের গায়করাও গানটির একাধিক কাভার বের করেন। বর্তমান ভিউ ৩২ কোটি ৩২ লাখ।

 

মানিকে মাগে হিতে

খুবই সাদাসিধে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস, ‘আমার নতুন গানের ভিডিও বের হয়েছে। গানের শিরোনাম ‘মানিকে মাগে হিতে।’ সঙ্গে গানটির লিংক শেয়ার করেছিলেন শ্রীলঙ্কান র‌্যাপার ইয়োহানি। দিনটি ছিল ২২ মে। সপ্তাহখানেক পরেই ৩০ জুন ফেসবুকে লিখলেন, ‘উই রিচ ওয়ান মিলিয়ন ভিউ (আমরা ১০ লাখ ভিউ ছুঁয়েছি)।’ তখনো জানতেন না তার গানটি বিশ্বব্যাপী ভাইরাল হতে যাচ্ছে। তার কিছুদিন পরেই সিদ্ধান্ত নেন গানটি তামিল ও মালয় ভাষায় কাভার করবেন। তারপর থেকে হঠাৎ করেই বাড়তে থাকে ভিউ। একসময় শ্রীলঙ্কার গানের ভিউয়ে রেকর্ড গড়ে। শ্রীলঙ্কার কোনো গান আগে এতবার শোনা হয়নি। শ্রীলঙ্কান র‌্যাপার ইয়োহানির মানিকে মাগে হিতে গানের ভিউ এখন ১৯ কোটি ৫৭ লাখ।

 

বাদাম গান

 বিশ্বজুড়ে ভাইরাল ‘বাদাম গান’। আর এই ‘বাদাম গান’-এর স্রষ্টার নাম ভুবন বাদ্যকর। ইতিমধ্যে সারা বিশ্বে কয়েক মিলিয়ন মানুষ এই ‘বাদাম গান’ শুনেছেন, দেখেছেন। এমনকি রিমিক্সও বানিয়েছেন। ভাইরাল হয়ে যাওয়া সেই গানের স্রষ্টা ভুবন বাদ্যকরের নিবাস বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের কুড়ালজুরি গ্রামে। গানের ভিউ এখন ১৯ কোটি ৪৫ লাখ।

সর্বশেষ খবর