নিজেকে খলনায়িকা ভাবতে কেমন লাগে?
এক কথায় অসাধারণ। এ চরিত্র যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে দক্ষতা দরকার। দর্শক আমাকে যেভাবে গ্রহণ করেছে তাতে আমার বিশ্বাস এ চরিত্র রূপায়ণে সার্থক হয়েছি। না হলে চার দশক ধরে চলচ্চিত্রে টিকে থাকতে পারতাম না।
খলনায়িকা চরিত্র বেছে নেওয়া কেন?
শুরুতে খলনায়িকা ছিলাম না। ১৯৮০ সালে প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার সুভাষ দত্তের 'সোহাগ মিলন' ছবিতে পাহাড়ি মেয়ে চরিত্রে একটি পজেটিভ রোল প্লে করেছিলাম। পরে দত্তদা তার 'সবুজ সাথী' ছবিতে আমাকে নেগেটিভ রোল প্লে করালেন। একই সঙ্গে শাবানা ম্যাডাম তার প্রযোজিত 'মান সম্মান' ছবিতে আমাকে অ্যান্টি রোল দিলেন। ভালো করলাম। এতে করে প্রখ্যাত চলচ্চিত্রনির্মাতা নারায়ণ ঘোষ মিতা তার সব ছবিতে খলনায়িকা হিসেবে কাস্ট করলেন। ব্যস এভাবেই খলনায়িকা হিসেবে পথচলা শুরু হলো।
খল চরিত্রে অভিনয় করে কখনো বিপদে পড়তে হয়নি?
দর্শক একটু বাঁকা চোখে দেখে বলে ভালোই লাগে। বুঝতে পারি আমার অভিনয় সার্থক হয়েছে। চরিত্রের সঙ্গে মিশে যেতে পেরেছি। তাই কেউ নেগেটিভ রিঅ্যাক্ট করলে অনেক খুশি হই।
শিল্পী সমিতির সঙ্গেও তো আপনি জড়িত।
হ্যাঁ, তিনবার সমিতির কর্মকর্তা ছিলাম। শেষবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছিলাম। এবার আবার আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচন করছি। আসলে কো-আর্টিস্টদের সুখ-দুঃখের সাথী হতে এবং তাদের পাশে সব অবস্থায় দাঁড়াতেই এ নির্বাচন করা।
চলচ্চিত্র থেকে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাবটা কেমন?
কোনো অপ্রাপ্তি নেই। ষোলো আনাই প্রাপ্তি। আজকে অভিনেত্রী রিনা খান হিসেবে প্রতিষ্ঠা, অর্থ, যশ, খ্যাতি লাভ, দর্শকের অফুরন্ত ভালোবাসা পাওয়া সবই তো চলচ্চিত্রের কল্যাণে হয়েছে।
চলচ্চিত্রে আসা কীভাবে?
শখের বশে এবং মায়ের উৎসাহে। আমি ছোটবেলা থেকেই স্পোর্টসের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। ১৯৭৮ সালে যখন বাংলাদেশে অলিম্পিক গেমের আয়োজন হয় সেবার এতে সাইক্লিংয়ে স্বর্ণপদক পাই। পরে মাথায় অভিনয়ের পোকা জেঁকে বসায় সোজা মাঠ থেকে বড় পর্দায় উঠে এলাম।
এখন ব্যস্ততা কেমন?
খুবই ব্যস্ত বলতে পারেন। অর্ধ ডজনেরও বেশি ছবির শুটিং নিয়ে রাত-দিনের অধিকাংশ সময় পার করছি। এসব ছবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- গুণ্ডামি, ভালোবাসা ষোলো আনা, ভালোবাসার অধিকার, প্রেমতো হতেই পারে, সত্তা প্রভৃতি।
আলাউদ্দীন মাজিদ