অমিতাভ বচ্চন মনে করলেন তার বাবা কবি হরবনসিং রাই বচ্চনকে। তার 'মধুশালা' বইটির জন্য যখন ইটপাটকেল খেতে হচ্ছিল তখন তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন খোদ মহাত্মা গান্ধী।
৭৫ বছরের এই অভিনেতা এদিন মনে করান ১৯৩৫ সালে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ঘটনাটি, যেখানে তার বাবার নামে দোষারোপ করা হয়েছিল ব্রিটিশ শাসিত ভারতের যুব সমাজকে বিপদগামী করা হচ্ছে মদ্যপানকে আকর্ষণীয় করে তুলে।
'মধুশালা লেখা হয়েছিল ১৯৩৩ সালে…। হ্যাঁ অর্থাৎ আজ থেকে ৮৫ বছর আগে, যা আজও সুফল দিচ্ছে তার দীর্ঘায়ু এবং উজ্জ্বল ভাবনার জন্য। যদিও ১৯৩৫ সালে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে বা তার আশেপাশে অঞ্চলে প্রথমে যখন তাকে সাধুবাদ জানান হচ্ছিল তখনই আবার একদল তার বিরোধিতায় মত্ত হয়ে নানাভাবে ভয় দেখাতে থাকে। এমনকী গান্ধীর কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগও জানান হয়।
বচ্চন তার ব্লগে লিখেছেন, তখন তাদের অভিযোগ ছিল, এই যুবকটিই দেশের যুব সমাজকে কলুষিত করছে মদের গুণগান গেয়ে, নষ্ট করছে যুবকদের…। তা অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার এবং ওকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত। সেই সময় তার বাবার বিরোধীদের জোরাল আওয়াজ নজরে আসে গান্ধাজীর। তিনি তখন শুনতে চান ওই লেখাগুলো। ফলে অমিতাভের বাবাকে তার কাছে নিয়ে আসা হলে বাবুজি বসে বসে সেই সব কবিতাগুলোর আবৃত্তি শোনেন।
বচ্চন জানান, সেই কবিতা শোনার পর মহাত্মা মনে হয়েছিল কোনও আপত্তিকর কিছু নেই তো ওই লেখাতে। আর সেকথা তিনি বলায় স্বস্তিতে বাড়ি ফিরেছিলেন হরবনসিং রাই বচ্চন।
বিডি প্রতিদিন/০৫ মার্চ ২০১৮/আরাফাত